নবজাতক পৃথিবীর আলো দেখলো, কিন্তু ততক্ষণে তার জন্মদাত্রী মায়ের চোখে নেমে এসেছে মৃত্যুর অন্ধকার। নেপথ্যে ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা! উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়, স্বামীর সাথে তার মাতৃগৃহে যাওয়া আট মাস বয়সী গর্ভবতী মহিলার সাথে একটি ডাম্পারের এমনভাবে ধাক্কা লাগে যে তিনি তার গর্ভস্থ বাচ্চা মেয়েটিকে দেখার আগেই মারা যান। সড়কে ডাম্পারের ধাক্কায় পিষ্ট হয়েছিলেন এক মহিলা, যার জেরে রাস্তার মাঝখানে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। বর্তমানে নবজাতক মেয়েটিকে সরকারি মেডিকেল কলেজের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি আগ্রার ধানৌলি গ্রামের, যেখানে ২৪ বছর বয়সী মহিলা কামিনী (৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা) ফিরোজাবাদের নারখি থানা এলাকার বারতারা গ্রামে যাচ্ছিলেন। স্বামী রামকুমার ওরফে রামুর সঙ্গে বাইকে করে মায়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। ঠিক সেই সময় বাইপাস রোডে বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা মারে। ভারসাম্যহীন অবস্থায় বাইকের পিছনে বসা কামিনী সমেত রাম কুমার ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান।
এ সময় পেছন থেকে আসা একটি ডাম্পার কামিনীর শরীরের ওপরের অংশকে পিষে দিলে নিচের অংশে চাপ সৃষ্টি হয় এবং মাঝ রাস্তায় শিশু কন্যার জন্ম হয়। পথ দুর্ঘটনায় তৎক্ষণাৎ ওই নারীরও মৃত্যু হয়। ডাম্পারের ধাক্কায় কামিনীর হাত-পা ভেঙ্গে গেলেও রাস্তায় পড়ে যাওয়ার প্রবল আঘাতে সেখানেই জন্ম নেয় তার কন্যা সন্তান।
এই ঘটনার সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিকটি ছিল কামিনী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, কিন্তু তার মেয়ের মুখ না দেখে পৃথিবীকে বিদায় জানাতে হলো তাঁকে। রাস্তায় এই দুর্ঘটনা দেখে লোকেরা শিউরে ওঠে, কারণ মা মারা গেছে। অথচ এসময় পাশেই নবজাতক মেয়েটি কাঁদতে থাকে।