২রা মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ফলপ্রকাশের পর থেকে সারা দেশের অনেক বড় বড় বাক্তিত্তই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফোন করেও অভিনন্দন জানিয়েছেন দিল্লি, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পাঞ্জাবের ইত্যাদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে আসেনি একজনের ফোন, তা অবাক করেছে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফলপ্রকাশের পর ফোন করেননি তাঁকে। ৩রা মে নির্বাচনের সম্পূর্ণ ফল প্রকাশের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলেন মমতা।
কোনো বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপার্থী যে শুভেচ্ছা জানানো দেশের প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে রাজনৈতিক সৌজন্য। বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে যখন ভোটের প্রচারের জন্যে তিনি একাধিক বার এসেছেন এই রাজ্যে।
কালীঘাটে নিজ বাসভবনে করা সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, ‘‘এই প্রথমবার দেখলাম কোনও প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন না। আমি অবাক হয়েছি।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানানোর পর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘আপনাকে প্রধামন্ত্রী ফোন করেননি ?’’ মমতার উত্তর, ‘‘না উনি আমায় ফোন করেননি। হয়তো ব্যস্ত ছিলেন।’’
এরপরই আরও যোগ করেন, ‘‘অবশ্য তাতে আমি কিছু মনে করিনি। জাতীয় স্বার্থে আর রাজ্যের স্বার্থে আমাদের যেখানে একসঙ্গে কাজ করার কথা সেখানে সহযোগিতা থাকলেই চলবে।’’
ব্যাক্তিগত ভাবে ফোন না করলেও অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকে ভোটে জেতার জন্য টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সরাসরি কথা বলা এড়ালেও অনলাইন সোশ্যাল মাধ্যমে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন। যদিও সেভাবে দেখলে আরও অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে।
যার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও উল্লেখ্য। তবে ৩রা মের সাংবাদিক বৈঠকে অবশ্য বিশেষভাবে মমতা উল্লেখ করেছেন তাঁদের কথা, যাঁরা তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
যার মধ্যে আছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিংহের নাম। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও যে তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন, তা বলেছেন মমতা। আর সাথে বলেছেন নরেন্দ্র মোদীর কথা, যিনি ফোন করেননি।