Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

‘কোটাওয়ালি আমার ঘর ভেঙেছে’, মৃত্যুর আগে কয়লা দিয়ে ঘরের দেওয়ালে লিখলেন গৃহবধূ

স্বামী নাকি চরিত্রহীন। অন্য মহিলার সাথে সম্পর্ক। এই কারণে মাথা ঠিক না রাখতে পেরে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিলেন স্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায় স্বামীর আচরণ ঘিরে ক্ষোভে রাগে আত্মহত্যা করেছেন এক মহিলা। মৃত্যুর আগে দেওয়ালে লেখা সুইসাইড নোটে মৃত্যুর জন্য স্বামীকে দায়ী করা হয়েছে। ছেলে আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হবেন বলেও লেখা আছে। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

রবিবার আত্মহত্যা করার আগে, ফতেহগড় থানা এলাকার উমা ওরফে জ্যোতি আগরওয়াল (বয়স ৪২ বছর) বাড়ির দেওয়ালে একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে যান। নিজের জীবন শেষ করার জন্য স্বামী দীপক আগরওয়ালকেই দায়ী করেছেন ওই গৃহবধূ। মহিলা লিখেছেন, “দীপকই আমার মৃত্যুর কারণ। তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”

দেওয়ালে কয়লা দিয়ে লেখা ছিল, “কোটাতে বসবাসকারী হিনার সঙ্গে দীপক আগরওয়ালের সম্পর্ক রয়েছে। কোটার হিনা আমার সর্বনাশ করেছে। হিনা আমার ঘরে ঢুকেছে। তার কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত। আমার কাছে কোটা ওয়ালির রেকর্ডিং আছে। এই লোকেরা আমাকে অনেক মেরেছে। আমার ছেলের পূর্ণ অধিকার পাওয়া উচিত। আমার সন্তান তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।”

পুলিশ জানায়, উমা ও তার স্বামী দীপকের মধ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। ১১ মাস আগে দুজনেই বিয়ে করেন। মহিলার একটি ১৬ বছর বয়সী ছেলেও রয়েছে। প্রথমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও পরে শুরু হয় বিবাদ। ঝগড়া অশান্তিতে বিরক্ত হয়ে উমা ইন্দোরে তার ভাইয়ের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু কিছুদিন পর ফতেহগড়-এ স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের ঝগড়া হলে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা।

জেলার এসপি পঙ্কজ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ঘরের মধ্যে ওই মহিলার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। দেয়ালে হিন্দি ভাষায় একটি সুইসাইড নোট লেখা রয়েছে। সুইসাইড নোটের তদন্তও চলছে। বর্তমানে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফতেহগড় থানার পুলিশ।

Related posts

দুই মাসের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে মুক্তির দোরগোড়ায় ভারত!

News Desk

ধেয়ে আসছে ছোটোখাটো এক গ্রহের সাইজের উল্কা, ঢুকে পড়েছে সৌরজগতে? কোন দিকে অভিমুখ?

News Desk

তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায় ,কি প্রতিক্রিয়া বিজেপির তরফে

News Desk