কথায় বলে মানুষ দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ জীব। কিন্তু তাদের কিছু কিছু কাজ মাঝে মাঝে প্রমাণ করে যে মানুষ পশুর থেকেও ভয়ঙ্কর। এমনই এক জঘন্য কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন ইন্দোরের এই ব্যাক্তি। তাঁর কীর্তির কথা শুনলে যেমন শিউরে উঠতে হয় তেমনি ঘেন্না করে। নিজের স্ত্রীকে দিনের পর দিন এই ব্যাক্তি বাধ্য করেছেন নিজের বন্ধু বান্ধবের বিকৃত যৌনতার চাহিদা মেটাতে। নিজের ইয়ার দোস্তদের নিয়ে ওই ব্যাক্তি বাড়িতে বা ফার্ম হাউসে বসিয়ে দিত নেশার আসর। আর সেই মদের আড্ডায় মনোরঞ্জনের জন্য ব্যাবহার করতো নিজের স্ত্রী কে।
কি ভাবে না ওই ব্যাক্তি অত্যাচার করেছেন নিজের স্ত্রীকে। বন্ধুদের সাথে স্ত্রীকে নিয়ে করেছেন নুড পার্টি (Nude Party)। স্ত্রীকে বাধ্য করেছেন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে নাচতে। একসাথে স্ত্রীকে করেছেন গণধর্ষণ (Gangrape)। সাথে সাথেই চলেছে বিকৃত যৌনাচারে মেতে ওঠা। আর এগুলোর কোনো কিছুই এক-দু’দিনের জন্য নয় চলেছে দিনের পর দিন। সহ্য করতে করতে আর না পেরে নারকীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর এর ওই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরই তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে ইন্দোর পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছে তার আরও পাঁচ বন্ধু। জানা গিয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিস সূত্র অনুযায়ী, এক ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে ওই ব্যাক্তির সাথে বিয়ের কথাবার্তা হয় ওই মহিলার। ছত্তীসগড়ের (Chattisgarh) নিবাসী ওই মহিলা পেশায় স্কুল শিক্ষক।
মহিলা বয়ানে জানিয়েছেন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট এ বিয়ে ঠিক হবার পর যখন তাদের বিয়ে হয় তখন সেই বিয়েতে শ্বশুবাড়ির তরফে কোন আত্মীয়-স্বজন আসেনি। কয়েকজন বন্ধুকে সাথে করে নিয়ে একাই বিয়ে করতে আসেন ওই ব্যক্তি। পরে ওই মহিলা জানতে পারে যে সে আগে থেকেই বিবাহিত। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ওই মহিলা নানা নারকীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছে। মহিলার গোপানাঙ্গে দেওয়া হতো সিগারেটের ছ্যাঁকা। মুখ খুললে খুন করা হবে বলে দেওয়া হত হুমকি। তোলা হত আপত্তিকর ভিডিয়ো। একটি গেস্টহাউসে মহিলাকে বাধ্য করা হয় ন্যুড পার্টি (Nude Party) তে সম্পূর্ন বিবস্ত্র অবস্থায় অংশগ্রহণ করতে। পার্টিতে ভাড়া করা হত বাইরের মহিলা দেরও।