এরকমও হয়!! দিদির প্রতি কর্তব্য করতে গিয়ে নিজেই জড়িয়ে পড়লো ফ্যাসাদে। দিদির প্রতি বোনের এমন ভালোবাসার কাহিনী হার মানাবে কোনো গল্পের কাহিনী কেও। কিন্তু সেই ভালোবাসা পূরণের ফল মিলল একেবারে হাতে-নাতে। আসলে সম্প্রতি গুজরাতের মণিনগরে অভয়ম নামের নারী ও শিশু কল্যাণ কমিশনের দফতরে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এসেছে। যা শুনলে আপনিও অবাক হবেন।
ঘটনাটি গুজরাতের মণিনগর এলাকার। জানা গিয়েছে সেখানে এক মহিলার বছর চারেক আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে জড়িয়ে পড়েছিল তার দেওরের সাথে বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কে। বেশ অনেকদিন ধরেই চলছে এই পরকীয়ার সম্পর্ক। এদিকে কোনভাবে তার ওপর সন্দেহ হয় শ্বশুরবাড়ির পরিজনদের এবং তার স্বামীর। কিন্তু সেই সন্দেহ পাকাপোক্ত হবার আগেই চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ওই নারী। দেওরের সাথে মিলে পুরো ব্যাপারটা ধামাচাপা দিতে উদ্যোগী হন। এই ব্যাপারে কোন কূল না পেয়ে শেষ অব্দি নিজের বোনকেই বেছে নেন তিনি। দেওরের সঙ্গে তার অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের কথা নিজের ছোট বোনকে জানান দিদি।
সূত্রের খবর , দিদির প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে নিজের মতের বিরুদ্ধে গিয়েই ওই বন দিদির দেওরকে বিয়ে করেন। এরপরও দিদির পরকীয়া থেমে থাকেনি। ওই তরুণীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়িতে গোপন প্রেমে আবদ্ধ প্রেমিক-প্রেমিকা অর্থাৎ ওই তরুণীর বড় বোন এবং তাঁর স্বামী। ওই অত্যাচারের কথা এর পর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলে বছর ২৩-এর ওই নির্যাতিতা তরুণী অভিযোগ করেছেন। শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতা একপ্রকার বাধ্য হয়েই মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন। এমনকী, নির্যাতিতা ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর স্বামী শারীরিক সম্পর্ক করতে অস্বীকার করতেন যেহেতু তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিজের বৌদি অর্থাৎ ঐ তরুণীর দিদির সঙ্গে, এমনটাই অভিযোগ তরুণীর।
ওই যুবক স্পষ্টতই জানিয়ে দেন নির্যাতিতা কে যে শুধুমাত্র গোপন পরকীয়ার সম্পর্ক ধামাচাপা দিতেই এই বিয়ে করেছিলেন। নির্যাতিতা ওই তরুণীর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা শেষ পর্যন্ত অভয়ম মহিলা কমিশনে ওই তরুণীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার বন্ধের মুচলেকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।