Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

অ্যামাজনের গভীরে লুকিয়ে আছে কোন রহস্য , জানেন!

পৃথিবীর তৈরীর পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বহু সময় অতিবাহিত হয়েছে। এই বিশ্বের কতো অজানা জঙ্গল , বন , জীবজন্তু হারিয়ে গেছে সময়ের সাথে সাথে। আস্তে আস্তে সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে মানব সভ্যতা গ্রাস করেছে বহু অরণ্য ও প্রাণী কে। আজ তারা বিলুপ্তপ্রায়। কিন্তু সেই প্রাচীন পৃথিবীর এক টুকরো রহস্য আজও টিকে গেছে পৃথীবির বুকে। যা হল দক্ষিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় অরণ্য গুলির মধ্যে অন্যতম অ্যামাজনের জঙ্গল (Amazon Forest)। অ্যামাজন জঙ্গলটি অবস্থিত আমাজন নদীর অববাহিকায়। এই জঙ্গলটি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় নিরক্ষীয় বন হিসাবে পরিচিত। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তরভাগে মোট ৯টি দেশকে সাথে নিয়ে এই বিশালাকার জঙ্গলটি অবস্থিত। প্রায় সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে তৈরি অ্যামাজন জঙ্গলটি। অত্যন্ত ঘন এবং বিশাল এই বন এখনও মানুষের কাছে বহু রহস্যে আবৃত এবং দুর্গম। এই অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট এ (Amazon Rainforest) এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে এখনো সূর্যের আলো পৌঁছায় নি।

some amazing facts about Amazon Rainforest

অ্যামাজনে লুকিয়ে আছে এমন অনেক রহস্য , জীব বৈচিত্র্য যা সারা পৃথিবীতে খোঁজ পাওয়া দুষ্কর। যেমন

আমাজন জঙ্গল এতই বিশাল জীব বৈচিত্রে পরিপূর্ণ যে এই বনের একটিমাত্র লতা গুল্মে থাকতে পারে বিপুল সংখক প্রজাতির পিপড়ার বাস। যে পরিমাণ পিঁপড়া হয়ত সমগ্র ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে নেই!

এই অ্যামাজন জঙ্গলে রয়েছে ১০ মিলিয়ন প্রজাতির প্রাণী। যার মধ্যে রয়েছে ৪০,০০০ প্রজাতির গাছপালা, ১৩০০ প্রজাতির পাখি, ৩০০০ প্রজাতির বিভিন্ন মাছ, এবং ২.৫ মিলিয়ন ভিন্ন প্রজাতির পতঙ্গ। সেইসঙ্গে প্রায় ৫০০ প্রজাতির উভচর প্রাণী বাস করে এই জঙ্গলে।

প্রায় ২ কোটি বছর সময় লেগেছিলো অ্যামাজন বনকে পূর্ণাঙ্গ জঙ্গলে পরিণত হতে।

অ্যামাজন জঙ্গলের বুক চিরে বয়ে চলেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমাজন নদী। দৈর্ঘ্যের দিক থাকে প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী। তবে জল প্রবাহের দিক দিয়ে অ্যামাজন বিশ্বের সর্ববৃহৎ নদী নীল নদের থেকেও এগিয়ে। প্রতি সেকেন্ডে আমাজন নদীর মোহনা দিয়ে প্রায় ২১ লিটার জল আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে মেশে।

এই জঙ্গলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপ অ্যানাকোন্ডার বাস। এই সাঁপ ওজনে ৪০ টন এবং দৈর্ঘ্যে ২১ ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অ্যামাজন জঙ্গলে ভয়ংকর পিরানহা মাছ থাকে। এই মাছ মাংসাশী। মরা মাছ বা মরা পশু খেয়ে ক্ষুদা নিবারণ করে থাকে, তবে যদি ক্ষুধার্ত অবস্থায় সামনে কোন মানুষ পায় এরা কিন্তু তাকেও আক্রমণ করতে পিছপা হয় না।

অ্যামাজনের জঙ্গলে বর্তমানে ৪০০ থেকে ৫০০ টি আমেরিন্ডিয়ান জনগোষ্ঠী বাস করে। তবে এই জঙ্গলের গভীরে বসবাসকারী প্রায় ৫০ টি জাতির সঙ্গে পৃথিবীর সভ্য মানবজাতির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই।

Related posts

আপনার কেনা ময়দা ও আটা ভেজাল নয়তো! সহজ পরীক্ষায় কীভাবে বুঝবেন জেনে নিন

News Desk

করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে বিরুদ্ধে অনেক কার্যকর কোভাক্সিন, জানালো ICMR

News Desk

৭৫ দিন পরে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ষাট হাজারের গন্ডিতে , কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও

News Desk