পশুর সঙ্গে অনৈতিক ভাবে সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা ক্যামেরায় রেকর্ড করার জন্য তার প্রাক্তন প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিলার পোষ্য কুকুরটিকে পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন যে কুকুরটির কোনো আঘাত লাগেনি। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলছে, অনুমান এই দম্পতির এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
জানা গিয়েছে নিজের পোষ্যের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হতেন ওই নারী। এ ব্যাপারে তাকে সমর্থন করায় তার সাবেক প্রেমিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাক্তন প্রেমিক পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় রেকর্ড করে তারপর হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার।
৩৬ বছর বয়সী ক্রিস্টিনা ক্যালেলোকে কুকুরের সাথে সম্পর্ক গড়ার জন্য পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ক্রিস্টিনার সাথে তার প্রাক্তন প্রেমিক জিওফ্রে স্প্রিংগার (৩৯) কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্রিস্টিনা গত ৮ বছর ধরে কুকুরটিকে শোষণ করছিলেন বলে অভিযোগ। গ্রেফতারী প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
দুজনকেই আদালতে হাজির করা হয়
ক্রিস্টিনা এবং জিওফ্রির বিরুদ্ধে পশুদের সাথে জড়িত যৌন কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। উভয়কেই এই সপ্তাহে আদালতে হাজির করা হয়েছিল, যেখানে তারা প্রায় ৪ লক্ষ টাকার বন্ড জমা দেওয়ার পরে জামিন পেয়েছিলেন। রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগেও গার্হস্থ্য সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ক্রিস্টিনা।
একই সময়ে, কুকুরটিকে স্থানীয় পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ডাক্তাররা কুকুরটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তবে কুকুরটির কোনো আঘাত লাগেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, আমেরিকার ৪টি রাজ্য, ওয়াইমিং, নিউ মেক্সিকো, হাওয়াই, পশ্চিম ভার্জিনিয়া ছাড়া বাকি সব রাজ্যে প্রাণীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এটাকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না। দোষী প্রমাণিত হলে তার এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
দ্য জার্নাল অফ কোয়ালিটেটিভ ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যান্ড ক্রিমিনোলজির মতে, পশুদের সাথে সম্পর্কের কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই, তবে গবেষণা বলছে, ‘৫ থেকে ৮ শতাংশ পুরুষ এ ধরনের অপরাধে জড়িত, অন্যদিকে ৩ থেকে ৪ শতাংশ নারীও এতে জড়িত।