প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় করোনা-র দ্বিতীয় ঢেউয়ে অল্প বয়সীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই বেশি। কিন্তু অল্পবয়সীদের মধ্যে আক্রান্ত সংখ্যা এত বেশি কেন এর সম্ভাব্য কারণ খোঁজার চেষ্টা করলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) -এর প্রধান ডক্টর বলরাম ভার্গব।
ডক্টর বলরাম ভার্গবের মতে, অল্পবয়সীদের মধ্যে বেশী আক্রান্ত হওয়ার জন্যে মূলত দুইটি কারণ রয়েছে। যার মধ্যে প্রধান হল, প্রথম ঢেউয়ের পর অল্পবয়সীদের মধ্যে কমেছে সতর্কতা। অনেক বেশি করে বাইরে বের হচ্ছেন অল্পবয়সীরা। অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ কোভিড বিধি মানছেন না আর দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় ওয়েভে দেশে করোনার নতুন মিউটান্ট ভেরিয়েন্টের উদ্ভব হয়েছে। ভাইরাসের এই রূপ বদলের ফলে আরও বেশি করে সংক্রমিত হচ্ছেন অল্পবয়সীরা।
মঙ্গলবার, ১১ই মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানান ডঃ বলরাম ভার্গব। তিনি বলেন, অল্পবয়সীরা সংক্রমিত হলেও এই ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেও পঁয়তাল্লিশ বছরের উর্দ্ধে করোনা সংক্রমণে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনা অধিক। তাই এই বয়সীদেরই ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হার সব চেয়ে বেশি। তাই, ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রেও পঁয়তাল্লিশ বছরের উর্দ্ধে যাদের বয়স তাদের কেই আগে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে আগের মতো।
২০২১ এ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেক বেশি সংখ্যক অল্পবয়সীদের সংক্রমণের তথ্য উঠে আসছে। যদিও গত এপ্রিলে অল্পবয়সীদের সংক্রমণের দাবি অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী, পরিসংখ্যান বলছে প্রথম ঢেউয়ে ৩০ বছরের কমবয়সী করোনা আক্রান্ত ছিল মোট আক্রান্তের ৩১ শতাংশ। দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা মাত্র ১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক পরামর্শ দাতা কে. বিজয় রাঘবণ সম্প্রতি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে একটি সতর্কতা জারি করেন। তারপর থেকে এই ঢেউয়ে অল্পবয়সীদের বেশি করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন দেশের বিশেষজ্ঞরা।