Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং স্বাস্থ্য

এই ৫ উপসর্গ দেখলেই দ্রুত পরামর্শ নিন চিকিৎসকের, ওমিক্রনের লক্ষ্মণ হতে পারে!

বিশ্ব জুড়ে ত্রাস ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। সবথেকে চিন্তায় রাখছে এই প্রজাতিটি সংক্রমনের তীব্রতা। যে ভাইরাস যত সংক্রামক হয় তার উপর নির্ভর করে তার ইনফেকশন থেকে মৃত্যুর হার নির্ধারণ করা হয়। বলাই বাহুল্য সারা পৃথিবীর কাছে এখন সবথেকে বড় চিন্তার বিষয় দু’বছর ধরে চলা ভাইরাসজনিত অতিমারী। বারবার নিজের জিনে পরিবর্তন ঘটিয়ে সংক্রামক হয়ে ফিরে আসছে করোনা। চলতি বছরের শুরুতেই এই দেশ তথা সারা বিশ্ব দেখেছে করোনাভাইরাস এর ডেল্টা প্রজাতির ভয়াবহতা।

ডেল্টা প্রজাতি যে শুধু বেশী সংক্রামক ছিল তা নয়, একইসঙ্গে আক্রান্তের মৃদু থেকে উচ্চ মাত্রায় জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, হঠাৎই রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। ডেল্টার কারণে মারা গিয়েছিল বহু মানুষ।

নভেম্বর মাসের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট। এক মাসের মধ্যেই সারা বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমনের দিক থেকে এটি করোনার সবথেকে বেশি সংক্রামক ভেরিয়েন্ট। কিন্তু এর উপসর্গ আগের অন্যান্য করোনা প্রজাতির থেকে কিছুটা আলাদা এমনটা লক্ষ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই প্রজাতিটি আবিষ্কৃত হয়েছে সবে। এর তীব্রতা সম্পর্কে এখনো গবেষণা চলছে। যদিও এই যাবৎ ওমিক্রনে মৃদু উপসর্গই দেখা গিয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে কোনো রকম বাড়াবাড়ি না হয় তাই প্রাথমিক অবস্থাতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আর অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়া যেতে পারে সেই কারণে এই ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাধারণ মানুষের ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। এখন অব্দি গবেষণায় এর কিছু উপসর্গের বিষয় জানা গেছে। জেনে নিন তেমনই পাঁচটি উপসর্গ।

অন্যান্য করোনা প্রজাতির মতোই, কোভিডের ওমিক্রন প্রজাতিতে সংক্রমিত রোগীর চরম ক্লান্তি বা অবসাদ দেখা দিতে পারে। কাজ কর্ম না করার এবং অতিরিক্ত বিশ্রাম নেওয়ার ইচ্ছে থাকতে পারে।

ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা গলা ব্যথার জায়গায় গলা বসে যাওয়ার মতো অসুবিধা অনুভব হতে পারে। তবে গলা ব্যথা এবং গলা বসে যাওয়ার সমস্যা কিছুটা একই লাগতে পারে। গলা বসে গেলে কথা বলতে সমস্যা হয়।

এই যাবত যে কোন করোনা প্রজাতির সংক্রমনের সময় দেখা গেছে জ্বর। কিন্তু এক বিশেষজ্ঞ ডক্টর কোয়েটজির মতে, ওমিক্রণের প্রভাবে হালকা জ্বর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি এবং যা নিজে থেকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠিক হয়ে যাবে।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারা প্রকাশিত আরেকটি তথ্য অন্য এক ডাক্তার উনবেন পিলে (Unben Pilley) ওমিক্রনের আক্রান্তদের বেশ কিছু উপসর্গ বিষয়ে অনুসন্ধান করে সেগুলি তালিকাভুক্ত করেছেন। তার মধ্যে একটি হল রাতে ঘাম দেওয়া। তিনি বলেন, নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের উপসর্গ হিসাবে যে রাতের ঘাম হওয়ার কথা বলা হচ্ছে তা রাতেই হতে পারে।

এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে শুকনো কাশি হতে পারে। যদিও এটি আগের অন্যান্য করোনা স্ট্রেনেও ছিল। এক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে রোগীর অস্বস্তি বোধ হতে পারে।

Related posts

বর্তির বিলে আচমকাই অভিযান চালালো পুলিশ, আটক ১০

News Desk

পুরীর সমুদ্রে কাকিমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা! কাকার চোখে পড়তেই ঘটলো ভয়াবহ কান্ড

News Desk

কলকাতার এই পরিবারে আজও হয় কালো রূপের দূর্গার পুজো! এমন কালো রঙের দূর্গামূর্তির কারণ কি?

News Desk