আজ পূণ্য অক্ষয় তৃতীয়া। প্রত্যেক বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়াতে অক্ষয় তৃতীয়া পালন করার রীতি আছে হিন্দু শাস্ত্রের পঞ্জিকা মতে। হিন্দু ধর্মে অক্ষয় তৃতীয়াকে অত্যন্ত শুভ যোগ হিসাবে মানা হয়। সাথে সাথে অক্ষয় তৃতীয়াতে সোনা অথবা রূপো ক্রয় করাকে অত্যন্ত শুভ মানা হয় পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্যে। অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা বা রূপো কিনলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ মেলে বলে হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রের প্রচলিত বিশ্বাস। তাই এই দিন অনেক সোনার দোকানেই ক্রেতাদের আনাগোনা লেগেই থাকে।
শুধু মাত্র হিন্দু নয়, জৈন ধর্মাবলম্বীদের জন্যও অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়া তিথি কে ঘিরে বহু কাহিনী বর্ণিত রয়েছে। মানা হয় এই শুভ তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। এছাড়াও বলা হয় বেদব্যাস আর গণেশ এই শুভ দিনে মহাভারত লেখা শুরু করেছিলেন। আবার মানা হয় এই বিশেষ দিনেই সত্যযুগ শেষ হয় ও ত্রেতাযুগ শুরু হয়। যেমন এদিনই স্বর্গের পূণ্য সলিলা গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন রাজা ভগীরথ। তেমনই এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাকে অতুল্য ঈশ্বর্য দান করেছিলেন। অক্ষয় তৃতিয়াতে কুবেরের লক্ষ্মীলাভ হয়েছিল বলে এই দিনই বৈভব-লক্ষ্মীর পুজো করা হয়।
জেনে নিন হিন্দু পঞ্জিকা মতে এই বছরের অক্ষয় তৃতীয়া কবে, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে, তৃতীয়া তিথি আরম্ভ বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৩০ বৈশাখ, শুক্রবার। ইংরেজি ক্যালেন্ডার মতে ১৪ মে, শুক্রবার। সময়– সকাল ৫টা ৩৯ মিনিট। আর তৃতীয়া তিথি শেষ– বাংলায়– ৩১ বৈশাখ, শনিবার। ইংরেজি– ১৫ মে, শনিবার। সময়– সকাল ৮টা।
সোনা বা রূপো কেনার ছাড়াও এটা মনে করা হয় অক্ষয় তৃতিয়ার দিন থেকে নতুন ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করলে তা লাভদায়ী হয়। পাশাপাশি এও মানা হয় অক্ষয় তৃতীয়ায় গৃহপ্রবেশ করা, দানধ্যান করা, গাভী কে খাদ্য দেওয়া ইত্যাদি অত্যন্ত শুভ। হিন্দুপুরাণ মতে মতে, অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে সব ধরনের পাপ ক্ষয় পায় এবং সমস্ত ধরণের পুণ্য অক্ষয় হয়। তাই কোনও দান-পুণ্য করলে তার ফল অক্ষত থাকে।