Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

পৃথিবীর বিস্ময় নায়াগ্রা জলপ্রপাত শুকিয়ে গিয়েছিল কেন! জেনে নিন

জলপ্রপাত বা ফলস এর নাম শুনলেই প্রথমে যে নাম মাথায় আসে সে নায়াগ্রা জলপ্রপাত (Niagara falls)। আপনি ভ্রমণপিপাসু হোন বা না হোন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের নাম শুনে থাকবেন। নায়াগ্রা জলপ্রপাতের অবস্থান আমেরিকা ও কানাডার মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানার ঠিক উপরে। আমেরিকার নিউইয়র্ক (New York) আর কানাডার ওন্টারিও (Ontario) প্রদেশের মধ্যে রয়েছে নায়াগ্রা জলপ্রপাত (Niagara falls)। মূলত ৩ টি জলপ্রপাত মিলে নায়াগ্রা জলপ্রপাত তৈরী হয়েছে। এর মধ্যে একটি আমেরিকায় বাকি দুটি কানাডায়। জলপ্রপাতগুলো হলো আমেরিকান ফলস or American falls, হর্সশু ফলস (Horseshoe falls or Canada falls) এবং ব্রাইডল ভেইল ফলস or Bridle Veil falls. এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো হর্সশু ফলস।

জলের নিচে পড়ার শব্দ নায়াগ্রা ফলসের এতটাই বিকট যে একে বজ্রধ্বনির সাথে তুলনা করা হয়েছে। এক হিসাবে জানা যায়, প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ১৬০ টন জল প্রবাহিত হয় নায়াগ্রা জলপ্রপাত দিয়ে। কিন্তু কয়েকবার নায়াগ্রা জলপ্রপাত শুকিয়ে গিয়েছিলো। জানেন কিভাবে!

কিন্তু নায়াগ্রা জলপ্রপাত শুকিয়ে গিয়েছিল কেন?

১৮৪৮ সালে নায়াগ্রা জলপ্রপাত শুকিয়ে গিয়েছিল। মার্চের ২৮ ও ২৯ ছিল তারিখ। বিশাল বিশাল বরফের চাঁই ভেঙে গিয়েছিল লেক এরিতে। এরপর নায়াগ্রা নদীর মুখ বরাবর বাতাস ও জলের তোড়ে সেসব বরফ খণ্ড আটকে পড়ে। এতে জলের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। একপর্যায়ে আরও শক্ত হয়ে মানুষের তৈরি বাঁধের মতো হয়ে পড়ে লাখ লাখ টন বরফ এবং সে কারণে জলের প্রবাহ একেবারেই কমে যায় নায়াগ্রা জলপ্রপাতে। নায়াগ্রা জলপ্রপাত শুকিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা অভাবিত ছিল। চারদিকে হই হই পড়ে গিয়েছিল। কেউ কেউ, এটি নাকি পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার লক্ষণ বলতে শুরু করেছিলেন! আর বিশেষ প্রার্থনা স্থানীয় অধিবাসীদের অনেকে শুরু করেছিলেন, যেন নায়াগ্রা দিয়ে আবার জল গড়ায়।

নায়াগ্রা জলপ্রপাত এর প্রায় ১০০ বছর পর মানুষ নিজের ইচ্ছাতেই শুকিয়ে দিয়েছিল। ১৯৬৯ সালের ২৫ জুন থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বাঁধ তৈরি করেছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রকৌশলী দল। মূলত এটি তৈরি করা হয়েছিল নায়াগ্রা জলপ্রপাতের মার্কিন অংশে। ভূতত্ত্ববিদদের গবেষণা এর উদ্দেশ্য ছিল। নায়াগ্রার তলদেশের ভৌগোলিক ও সেখানকার পাথরের গঠন বোঝার জন্যই এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটি নির্মাণে ২৭ হাজার ৮০০ টন পাথর ও মাটি প্রয়োজন হয়েছিল। দর্শনার্থীদের জন্য একটি রাস্তাও তৈরি করা হয়েছিল, যাতে তাঁরা শুকনো নায়াগ্রা দেখতে পারেন বাঁধ বরাবর। পরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই বাঁধ ভূতত্ত্ববিদদের গবেষণা কাজ শেষ হওয়ার পর। সেই সময় শুকনো খটখটে ছিল নায়াগ্রা জলপ্রপাত কয়েক মাস।

Related posts

পাক সীমান্তে ধৃত ‘গুপ্তচর’। তথ্য পাচারের গুরুতর অভিযোগ

News Desk

স্ত্রী সোনার গয়না রেখেছিল চালের বস্তায়! না বুঝে বস্তা ধরে বিক্রি করে দিলেন স্বামী! তারপর..

News Desk

স্ত্রীর পেটে সেলাইয়ের দাগ এলো কোথা থেকে? RTI করলেন স্বামী, কারণ জেনে হতবাক

News Desk