বিয়ের পর স্ত্রীর বিষয়ে এক চাঞ্চল্যকর সত্যের সন্মুখীন হলেন এক যুবক। ঘটনাটা কি? জানলে অবাক হবেন। আসলে দুই বছর আগে এক যুবকের সঙ্গে সম্বন্ধ ঠিক হয় এক মহিলার। দুজনের এনগেজমেন্টও হয়ে যায়। এর পর থেকেই তিনি তার বাগদত্তার সঙ্গে ফোন কলে কথা বলতে থাকেন। শীঘ্রই তিনি তার হবু স্ত্রীর প্রেমে পড়ে যান। এরপর দুজনেই ধুমধাম করে বিয়ে করেন।
বিয়ের পরে স্বভাবতই ফুলসজ্জার সময় এলো। সেই সময় হঠাৎ বর খেয়াল করলেন কনের পেটে সেলাই রয়েছে। কিছুটা সন্দেহ হলেও স্বামী তখনকার মতন কিছু বলে না। প্রথা অনুযায়ী বিয়ের কয়েকদিন পর স্ত্রী তার মাতৃগৃহে চলে যান। কিন্তু বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও সন্দেহের কারণে স্বামী তাকে নিতেও যাননি। সেখানেই গোটা বিষয়টি আরও জটিল হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে স্বামী নিতে না আসায় স্বামীর বিরুদ্ধে পণ সম্পর্কিত হয়রানির মামলা দায়ের করলেন স্ত্রী। এরপর স্বামী তদন্ত শুরু করেন…
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2022/04/judge-hammer-gavel-lf-1-1024x585-1-1.jpg)
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার এক ব্যক্তির কাহিনী। তিনি পাশের অশোকনগর জেলার এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। যৌতুকের জন্য হয়রানির মামলা করার পর স্ত্রীর পেটে সেলাই এর দাগ কেন আছে সেই কারণ খোঁজা শুরু করেন স্বামী।
স্বামীর আরও অভিযোগ, বিয়ের দু-একদিন পরেই স্ত্রী মোবাইলেও কথা বলতে শুরু করেন। তার পেটেও সেলাই দেখা যায়। সন্দেহ ঘনীভূত হলে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন স্বামী। তারপর জানা গেল, সম্বন্ধ ঠিক হওয়ার আগে তার স্ত্রী একটি স্কুলে পড়াতে যেতেন এবং সেখানে একজন শিক্ষকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
এদিকে তদন্ত করতে গিয়ে স্বামী জানতে পারেন, বিয়ের আগে স্ত্রী অশোকনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেটির বিষয়ে বিশদে জানার জন্য স্বামী তথ্যের অধিকার (আরটিআই) পদ্ধতিটি অবলম্বন করেন। তিনি আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্য দেখে হতবাক হয়ে যান।
আরটিআই করে জানা যায় যে বিয়ের মাত্র তিন মাস আগে স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। মানে মেয়েটির গর্ভপাত করা হয়েছে। চমকপ্রদ বিষয় হল, মেডিকেল রিপোর্টে বিয়ের আগেও স্বামীর নাম লেখা ছিল। এখন স্বামী তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আরটিআই থেকে প্রাপ্ত এই তথ্য উপস্থাপন করেছেন। পাশাপাশি স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভ্রুণহত্যার অভিযোগও উঠেছে। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে একাধিকবার মারধর করেছে বলে অভিযোগ যুবকের। এ ব্যাপারে দ্রুত বিচারের আবেদন জানিয়েছেন স্বামী।