ভ্যাসেকটমির করাতে চেয়ে ভিড় উপচে পড়ছে ক্লিনিক। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, একেবারে পাকাপোক্ত গর্ভনিরোধের বিকল্প হিসেবে এই দেশের পুরুষরা বেছে নিচ্ছেন ভ্যাসেকটমির বিকল্প। এখানকার পুরুষেরা কেন এমন করছেন জানলে চমকে উঠবেন।
৫০ বছর পর গর্ভপাতের আইনত অধিকার খুইয়েছেন আমেরিকান মহিলারা। ১৯৭৩ সালের বিখ্যাত রো বনাম ওয়েড মামলার রায় খারিজ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত আবার গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেছে (America Supreme Court Bann Abortion)। সেই নিয়ে চলছে প্রচুর বিক্ষোভ। জানা গিয়েছে সম্প্রতি আমেরিকায় গর্ভপাত আইন বাতিলের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর থেকে দেশটিতে বন্ধ্যাকরণ করতে ইচ্ছুক পুরুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ভ্যাসেকটমি করতে চাওয়া পুরুষের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এ জন্য ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সব ক্লিনিকেই বাড়ছে ভ্যাসেকটমি করানোর লাইন পড়ে গেছে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে তিনি সাধারণত পুরুষ ভ্যাসেকটমি করার জন্য দিনে চারটি অনুরোধ পান, তবে গত শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিনি ৯০ টির উপর অনুরোধ পেয়েছেন।
ইউনিভার্সিটি হসপিটালস অফ ক্লিভল্যান্ড, ওহাইও বলছে যে গর্ভপাতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর থেকে পুরুষরা বন্ধ্যাকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে আরো বেশি আগ্রহী। ফ্লোরিডার উত্তর মিয়ামির একজন ইউরোলজিস্ট ডঃ ডেভিড রবিনস বলেছেন যে তিনি ভ্যাসেকটমি সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রচুর ফোন কল পেয়েছেন। একই সময়ে, কানসাস সিটির একজন ইউরোলজিস্ট ডক্টর ক্রিশ্চিয়ান হেটিঙ্গার বলেছেন যে তার অফিসেও, ভ্যাসেকটমি বিষয়ে অবিরাম ফোন আসছে। মানুষ নির্বীজন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চায়। এই কারণে বেশ খুশি চিকিৎসকদের অনেকেই।
কিন্তু কেন এমনটা? আসলে নিজের স্ত্রী বা মহিলার সঙ্গীকে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের মতন সমস্যায় ফেলতে চান না কেউ। যেহেতু এই মুহূর্তে আমেরিকায় গর্ভপাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তাই ঝুঁকিপূর্ণভাবে যৌন মিলনে আগ্রহী নন পুরুষেরা। বেশিরভাগই পাকাপোক্ত উপায়ে খুঁজছে। সেই কারণেই পুরোপুরি বন্ধ্যাত্বকরণের দিকে ঝুঁকেছে বেশিরভাগ পুরুষ এমনটাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।