শিক্ষক দিবস শিক্ষকের প্রতি সন্মান প্রদর্শনের দিন। কিন্তু এমন দিনে এক স্কুল শিক্ষকের করা অসভ্যতার ঘটনা এখন ভাইরাল। অভিযোগ, কিছুদিন আগে ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন এক ইংরেজি মিডিয়ায় স্কুলের এক শিক্ষক জোরজবরদস্তি করে ছাত্রীর অমতে এক ছাত্রীর মুখে কিছুটা কেক মাখিয়ে দেয়। ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বয়সে নাবালিকা ওই ছাত্রীর বাবা এরপর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশের তরফে পকসো আইনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপরেই তাকে আটক করে পুলিশ। শিক্ষকের অসভ্যতার এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রামপুরে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে যথেষ্ট নিন্দিত হয়েছে এই ভিডিয়ো। ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রীটিকে কেক মাখাতে গেলে সে শিক্ষকের হাত থেকে পালাতে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অভিযুক্ত ওই শিক্ষক তাঁকে জোর করে ধরে ফেলেন এবং তার ইচ্ছার বিপরীতচারণ করে তাকে কেক মাখিয়ে দেয়। পাশাপাশি ওই ভিডিওতে সেই শিক্ষককে ছাত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, কে এখানে বাঁচাবে তোমাকে? ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে অবশেষে সেই মেয়েটির বাবার চোখে পড়লে তিনি সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
রামপুরের অ্যাডিশনাল এসপি সংসার সিংহ জানান, তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ইংরেজি মাধ্যমের প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষক সিভিল লাইন এলাকায় নিজের একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন। ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন সেখানে তার ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হয় শিক্ষক দিবস পালন করতে। তখনই জোর করে সেই নাবালিকা ছাত্রীর মুখে কেক লাগিয়ে দেয় শিক্ষক। ঘটনায় ছাত্রীর অভিভাবকের তরফে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককেও গ্রেফতারও করা হয়।
জানা গিয়েছে, জোর করে কেক মাখিয়ে দিয়েছে যিনি সেই শিক্ষকের বয়স ৫৭ বছর। নাবালিকা ওই ছাত্রী পড়ে একাদশ শ্রেণিতে বলে। ভারতীয় সংবিধানের পকসো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে বিচারকের সামনে পেশ করা হয়। বিচারে ফের একবার তাঁকে পুলিশি জেল-হেফাজতে রাখার নির্দেশ এসেছে।