মেকআপ করার পর টাকা না দিয়ে বিউটি পার্লার থেকে পালিয়ে যায় দুই নারী। বিউটি পার্লারের মালিক বিষয়টি বুঝতে পারা মাত্রই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে সেই মহিলাদের খুঁজে বের করার আবেদন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন তিনি।
পার্লারের মালিকের নাম জেড অ্যাডামস। ২৮ বছর বয়সী অ্যাডামস জানান, দুই দিন আগে দুই মহিলা তার দোকানে এসেছিলেন। তারা মা-মেয়ে হিসাবে পরিচয় দেন। দুজনেই মেকআপের সাথে বোটক্স ট্রিটমেন্ট এবং অন্যান্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা করান। কিন্তু যখন ৪৮ হাজার ৯৪২ টাকা বিল দেওয়ার সময় আসে, তখন তারা সকলের চোখে ধুলো দিয়ে ক্লিনিক থেকে বেপাত্তা হয়ে যায়।
ব্রিটেনের বাসিন্দা জেড অ্যাডামস ফেসবুকে এক নারীর ছবি শেয়ার করতে গিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন- চোরের ছবি শেয়ার করুন। দুর্ভাগ্যবশত এই মহিলা এবং তার মেয়ে গতকাল আমার ক্লিনিকে একটি বিউটি ট্রিটমেন্টের জন্য এসেছিল। কিন্তু টাকা না দিয়ে পালিয়ে যায়। অ্যাডামস বলেছিলেন যে তারা যেভাবে কথা বলেছিল তাতে তারা দুজনেই আইরিশ বলে মনে হচ্ছিল।
এ ঘটনায় এডামস থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, উভয় মহিলাই ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য (বোটক্স এবং লিপ ফিলার) বুকিং করেছিলেন, তারপর মেকআপ ইত্যাদি করান এবং যখন টাকা দেওয়ার সময় আসে তখন তারা অজুহাত দেখিয়ে বাইরে চলে যায় এবং ফিরে আসেনি। অ্যাডামস জানায়, তাদের বিল হয়েছে ৪৮ হাজার টাকারও বেশি।
ক্লিনিক থেকে এভাবে পালিয়ে যায়
অ্যাডামস বলেছেন যে প্রথমে একজন মহিলা তার ট্রিটমেন্ট করিয়েছিলেন। তখন অপেক্ষারত ছিলেন দ্বিতীয় মহিলা। এদিকে দ্বিতীয়জন তার ট্রিটমেন্ট করিয়েছিলেন, তখন তিনি প্রথমজনকে টাকা দেওয়ার জন্য ডাকতে ওয়েটিং এরিয়াতে আসেন, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে দুজনেই নিখোঁজ হন। তারা সেখানে একটি ব্যাগ রেখেই বাইরে বেরণ, যাতে লোকেরা মনে করে যে তারা সেটা নিতে ফিরে আসছে। কিন্তু এটা ছিল স্রেফ প্রতারণা।
‘মেট্রো ইউকে’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাডামস বলেছেন যে তিনি ১৮ মাস ধরে ক্লিনিক চালাচ্ছেন কিন্তু এমন গ্রাহক কখনও দেখেননি। অ্যাডামস প্রতারক নারীদের ধরতে পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন।