অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া জেলার থেকে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তিন দিনের একটি শিশুকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করেছে বিজয়ওয়াড়া জেলার পুলিশ।
![Up teacher arrested for smashing students face with cake](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2021/09/arrested-ani-1616637668.jpg)
গত তিন মাসে এটি ছিল এমন দ্বিতীয় ঘটনা যেখানে ওই এলাকায় কোনো শিশুকে বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে, এই ঘটনা এমন প্রথম ছিল যখন অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩ দিনের একটি শিশুকে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। চাইল্ডলাইনের জেলা সমন্বয়কারী অর্ভা রমেশ অজিত সিং শহরের পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের নাম কুয়াক চাভালি এবং অমরুতা রাও। অভিযোগে বলা হয়েছে, অমৃতা রাও নামের মহিলা নিজেকে ডাক্তার বলে দাবি করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শিশুটিকে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলেন।
একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় লেখা হয়েছে, গুনাডালার কমলাকার রাও নামে এক ব্যক্তি রমেশকে বাচ্চা বিক্রির কথা জানিয়েছিলেন, যিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজটি দেখেছিলেন। মেসেজে লেখা ছিল “মেয়ে সন্তান, ওজন ৩ কেজি, দাম ৩ লাখ। জন্মের শংসাপত্রটি আমাদের নিজস্ব নামে করানো,” মেসেজে মোবাইল নম্বরের পাশাপাশি শিশুটির একটি ভিডিও ও ছবিও ছিল।
অভিযোগকারী সেই নম্বরে কল করেছিলেন যেটি অমৃতা রাও তুলেছিলেন, যিনি নিজেকে একজন নিবন্ধিত চিকিত্সক (আরএমপি) বলে দাবি করেছিলেন। রাও রমেশকে বলেছিলেন যে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাটি পুষ্পলথা নামে একজন মহিলা ফরোয়ার্ড করেছিলেন। ভুয়ো ডাক্তার অমৃতা রাও হোয়াটসঅ্যাপে পুষ্পলথা নামে একজন মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুটি কে বিক্রি করতে চাইছিলেন। তবে এসব ঘটানোর আগেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।