এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ভরদুপুরে ঘটে গেল। সদ্য জেল থেকে মুক্তি পাওয়া এক আসামিকে নিয়ে টানাপোড়েনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার ট্রাফিক মোড় এলাকায়। ট্রাফিক পুলিশের রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা।
কোনোমতেই তারা সামলাতে পারছেন না পরিস্থিতি।
হাসান মোহাম্মদ নামের এক আসামি জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে শনিবার দুপুরে ছাড়া পায়। ওই আসামি জেল থেকে বেরোনোর পর ওই এলাকায় রীতিমত নাটক শুরু হয়। আসামি হাসান আদতে কার সেই নিয়ে হাসানকে রীতিমতো টানাপোড়েন শুরু হয় ওই এলাকায় ! দুই মহিলা দড়ি টানার মত করে হেঁচড়াতে থাকে হাসান কে। টানাপোড়েন শুরু হয় হাসানকে নিয়ে।
সন্তান সাথে নিয়ে এক মহিলা দাবি করেন যে তিনি হাসানের স্ত্রী । অপরজন আবার এও দাবি করে যে হাসানের সাত বছরের প্রেমিকা তিনি । তাদের এই টানাপোড়েন সেখানকার পথচলতি মানুষ কোনমতেই থামাতে পারেনি । সেখানে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশ ও রীতিমতো হিমশিম খেয়েছে তাদের ছাড়াতে । অবশেষে ট্রাফিক পুলিশ ওই তিনজনকে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে বসিয়ে রেখে দেয়। দ্রুত কোতোয়ালি থানায় খবর দেয়া হয় ।
কে সত্যি বলছে আর কে মিথ্যা বলছে কার কথা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে রীতিমতো দ্বন্দ্বে রয়েছেন পুলিশ । ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ তিনজনকেই থানায় নিয়ে যায় । এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায় ।
এদিকে, হাসানের প্রেমিকা দাবি করেছেন যে বছর সাতেকের প্রেম-হাসান ও তার মধ্যে । আজ হাসান জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে । আজি বিয়ে হওয়ার কথা আমাদের । আমার জীবন ও নিজেই নষ্ট করেছে । ওর স্ত্রী এবং আমি একসাথে ওর সাথেই থাকব । কেন ছাড়বো ওকে আমি? ও আমার সঙ্গে তিন মাস ছিল। আমার স্বামীর কাছ থেকে হাসান আমায় ছিনিয়ে এনেছে। আমার স্বামী কি এখন আর আমায় নেবে ?
উল্টোদিকে , হাসানের স্ত্রী এর দাবি , আমার বরকে আটকে রেখেছিল । আমার স্বামী হাসান ছাড়া পেয়েছে জেল থেকে । তখনই খেয়াল করলাম ওই মহিলা চলে এসেছে এবং হাসানের হাত ধরে টানাটানি করছে ।