২০১৬ সালে শ্রীমদ রামচন্দ্রের ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তীতে উপলক্ষে ভারতে এসেছিল ১০ টাকার কয়েন ৷ এরপরই বাজারে ১০ টাকার নোটের পাশাপাশি চালু ছিল ১০ টাকার কয়েনও। কিন্তু এই ১০ টাকার কয়েন ঘিরে নানা সময়ে নানা বিভ্রান্তি দেখা মেলে।
বহু সময়েই খবর এসেছে বেশ কিছু রাজ্য বা নানা শহরে ১০ টাকার কয়েনের আদান প্রদান ঘিরে সমস্যা হয়েছে ৷ এর জন্য অনেক সময় বাইরে আসা পর্যটক বা দোকানদার সঙ্গে এই টাকা বিনিময় নিয়ে বাঁধে ঝামেলা।
কিন্তু কেন এই দ্বিধা? আসলে আরবিআই (RBI) মোট ১৪টি নকশার ১০ টাকার কয়েনে বার করেছে ৷ অনেকেই এই ১৪ ধরনের ১০ টাকার কয়েনের সবকটির সঙ্গে পরিচিত নয়। তাই আলাদা ধরনের ১০ টাকার কয়েন দেখে অনেক সময়েই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় যে সেই ১০ টাকার কয়েনটি আসলে নকল না আসল৷
কিন্তু এই বিভ্রান্তি একটু বেশিই মাত্রা নিয়েছে ভারতের একটি শহরে। ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ১৫০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত মথুরায় রীতিমত অচল এই ১০ টাকার কয়েন। এমনকি ১০ টাকার কয়েন রিকশাওয়ালা থেকে মন্দিরের পাশের দোকানদার কেউই নেননা ৷
কেন কোনো মানুষই মথুরায় এই ১০ টাকার কয়েন নেননা এর পেছনে তাঁদের যুক্তি হচ্ছে যখন অন্যরা এই ১০ টাকার কয়েন নিচ্ছেন না তবে তাঁরা কেন নেবেন ? এর ফলে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের ৷ সমস্যায় পড়ছেন অন্য রাজ্য থেকে আসা পর্যটকেরাও।
মথুরা ছাড়াও ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরেও দীর্ঘদিন ধরে মানুষ লেন দেনের সময় ১০ টাকার কয়েনকে ব্যাবহার করতে চায় না। তারপরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক বিবৃতির পরে ফের ১০ টাকার কয়েনের প্রচলন শুরু হয়েছে।
এই বিভ্রান্তির কারণে দশ টাকার কয়েন নিয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এক কড়া বিবৃতি জারি হয়েছে। আরবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দশ টাকার কয়েন কেউ নিতে অস্বীকার করেছে এমন অভিযোগ পেলে পরেই দ্রুত কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।