চুরির উদ্দেশ্যে একটি ফাঁকা বাড়িতে কৌশলে ঢোকেন এক যুবক। এরপর সাবধানে বস্তায় ভরে নেন চুরির মালপত্র। কিন্তু চুরির জিনিসপত্র টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্লান্তি তো কম নয়। তাই ক্লান্তিতে ঘুমিয়েই পড়েন চোর। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও ভাঙেনি সেই ঘুম। আর এতেই তার কপালে নামে শনি। শেষে জনতার হাতে ধরা পড়ে পিটুনি খেয়ে যেতে হয় থানায়।
অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উত্তর তালদি গ্রামে। তালদি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় বসত বাড়ী প্রদীপকুমার নাথের। কিন্তু চাকরি কলকাতায় হওয়ায় সেখানেই বেশিরভাগ সময় থাকেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে আসেন বটে মাঝে মাঝে। কিন্তু যাতায়াত অনেকটাই কম। এই কারণে প্রদীপবাবুর বাড়ি যে বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থাকে তা পাড়া প্রতিবেশীদের প্রায় সকলেরই জানা ছিল। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে বাড়ির জিনিসপত্র চুরির চেষ্টা করেছিলেন এক যুবক। কিন্তু তার ফল হলো উল্টো। বুধবার প্রদীপবাবুর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে মনের সুখে চুরি করতে জানালা ভেঙে ঢুকে পড়েছিল সেই যুবক। একপ্রস্থ জিনিসপত্র চুরি করাও হয়ে গিয়েছিল। সেই সব জিনিস নিজের বাড়িতে নিয়ে রেখে এসে আবারও ওই বাড়িতেই বাকি জিনিস চুরি করে সরিয়ে নিয়ে যেতে ঢুকেছিল অভিযুক্ত যুবক।
জিনিস বাঁধাছাঁদা শেষ হতে হতে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ব্যাগপত্র গুছিয়ে রেখে চেয়ারে বসে পড়ে যুবক অপেক্ষা করতে থাকে। এর মধ্যেই বৃষ্টির আমেজে জিনিসপত্র টানাটানি করে আগে ক্লান্ত শরীরে গভীর ঘুমে তলিয়ে যান ওই যুবক। সন্ধে ঘনিয়ে এলেও তার ঘুম ভাঙেনি। তবে ততক্ষণে পাড়া প্রতিবেশীদের নজরে পড়েছে যে কলকাতা নিবাসী প্রদীপবাবুর ঘরের জানালা ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে প্রদীপবাবুকে ফোন মারফৎ খবর দেওয়া হয়। বাড়ি এসে প্রদীপকুমার নাথ নামক ওই ব্যাক্তি দরজা খুলতেই চোঁখ চড়কগাছ। দেখতে পান চুরির জিনিসপত্র বেঁধেছেদে চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে রয়েছেন এক ব্যাক্তি। ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন প্রদিপবাবু। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই ওই যুবককে আটকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পুলিশে জানানো হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত ওই যুবককে আটক করেছে। এলাকার লোকজনের দাবি ওই যুবক ওই অঞ্চলে আগেও বেশ কয়েকবার চুরি করে ধরা পড়েছিল। এদিন আবারও চুরি করে। বাদ সাধল ঘুম। সূত্র অনুযায়ী পুলিশের জেরায় চোর জানিয়েছে জিনিসপত্র টানাটানিতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল সে।