করোনা আসলেই কীভাবে নিজের যত্ন নিতে হবে তা প্রতি মুহূর্তে আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে। নিজেকে কীভাবে ভালো রাখা যাবে। একথা অস্বীকার করা যাবে না যে সচেতনতা এনে দিয়েছে, ।
প্রচুর শাক সবজি, ফলমূল খেতে হবে শরীর সুস্থ সবল রাখতে, আর লাউ খেতে হবে। লাউয়ের উপকারিতা সুস্থ শরীরের জন্যে যথেষ্ট।
কী কী উপকারিতা:
১. কোলন নামের এক ধরনের নিউরো ট্রান্সমিটার রয়েছে লাউয়ের মধ্যে। যা স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে শরীরে। বিভিন্ন মানসিক রোগে লাউ খেলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
২. তাঁরা লাউ খান, যারা ওজন কমাতে চাইছেন। গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, ওজন কমাতে সাহায্য করে লাউয়ের রস। শরীরে ফাইবারের মাত্রা বেড়ে যায় নিয়মিত খেলে। ফলে খিদে পায় না কিন্তু দীর্ঘসময়।
৩. দৈনিক লাউ খান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, পেটের সমস্যা থাকলে। শেষ করা যাবে না লাউয়ের উপকারিতার কথা বলে।
৪. এমনকি খেতে পারেন মুগডাল দিয়ে লাউ তরকারি বানিয়ে। মুখে আসবে রুচিও আবার উপকারও।
৫. এছাড়াও অনেকেই হয়তো জানেন না যে, লাউয়ের রস হচ্ছে ব্লাড প্রেসারের রোগীদের মোক্ষম দাওয়াই।
৬. আজকাল ঘরে ঘরে রাতে ভালো ঘুম না হওয়ার একটা সমস্যা দেখা যাচ্ছে । আর যদি ভালো ঘুম না হয় রাতে, তাহলে সমস্যা দেখে দেয় অনেক রকম। কাজ করা যায় না। বিশেষজ্ঞরা লাউয়ের রস বা তরকারি ভাল ঘুম হতে সাহায্য করবে বলেই জানাচ্ছেন।
৭. লাউয়ের রস নিয়মিত খেলে এমনকি কমবে প্রাণহীন, রুক্ষ ত্বকের সমস্যাও । উজ্জ্বল হয়ে উঠবে ত্বক।
জলের কোনও বিকল্প হয় না শরীরকে চাঙ্গা, তরতাজা রাখতে। কারণ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় দীর্ঘক্ষণ ধরে শরীর তার প্রয়োজনীয় জল না পেলে। দেহের ভিতরে জলের ঘাটতি যেন দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এর জন্যে খেতে হবে লাউ। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে এবং লাউ বিশেষ ভূমিকা পালন করে যা দেহের ভিতরে জলের অভাব মেটাতে, এবং ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
শরীর ঠাণ্ডা করে
শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা অনেক সময়ই বেড়ে যায়, যা একেবারে ভাল নয়। তাই সপ্তাহে ২-৩ দিন লাউয়ের রস নিয়মিত খাওয়া উচিত! খাওয়ার অভ্যাস করুন।