সম্প্রতি ক্রীড়া জগতে ট্রান্স নারী খেলোয়াড়দের নিয়ে বিতর্ক বেশ জোরালো আকার নিচ্ছে। অভিযোগ ট্রান্স-নারীদের মাধ্যমে নারীরা সর্বত্র শোষিত হচ্ছে। বিশেষত খেলাধুলার জগতে। অনেকেই এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, পুরুষরা যদি কিছু হরমোনের ওষুধ খেয়ে নারীদের প্রতিযোগিতায় নারী হিসেবে অংশগ্রহণ করে তাহলে কী হবে? সেক্ষেত্রে কি সেটা নারীদের সাথে অবিচার নয়?
সেই বিতর্কে এবার নাম জড়িয়েছে লিঙ্গান্তরিত হয়ে পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হওয়া সাঁতারু লিয়া থমাসের (Lia Thomas)। অবশ্য এনার কারণ কিছুটা অন্য। স্কুল জীবন থেকেই সাঁতারু হিসাবে বেশ খ্যাতি ছিল তাঁর। তিনি লিঙ্গ বদলে নারী হন। কিন্তু সাঁতারু হিসাবে তার খ্যাতিতে কোনো ভাঁটা পড়েনি।
লিয়া থমাস, যিনি মহিলাদের সাঁতারে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং একটি রেকর্ড অর্জন করেছিলেন কিন্তু তিনি অন্যান্য মহিলা সাঁতারুদের জন্য বেশ অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁতার দলের একজন “ট্রান্স-ওম্যান” লিয়া টমাস মহিলাদের সাথে সাঁতারের প্রতিযোগিতায় নেমে সময় শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়েরই নয়, জাতীয় রেকর্ডও ভেঙেছেন। এই লিঙ্গ পরিবর্তনের আগে লিয়া থমাস উইল থমাস ছিলেন এবং পুরুষদের সাঁতার দলে উইল থমাস হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
কিন্তু মহিলা সাঁতারুরা এর কারণে কিছুটা রেগে গিয়েছিল কারণ এই ধরনের পুরুষরা যদি লিঙ্গ পরিবর্তন না করে, অস্ত্রোপচার না করে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আসে, তাহলে মহিলাদের প্রতি অবিচার করা হবে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিমের অন্য মেয়েরাও এ নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল।
কয়েক জন মহিলা সতীর্থ অভিযোগ করেছেন, লিঙ্গান্তর হয়ে গেলেও লিয়ার যৌনাঙ্গে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এখনো সেটি পুরুষ যৌনাঙ্গ হিসাবেই আছে। এবং মহিলাদের প্রতি লিয়ার মনোভাব পুরুষওচিত রয়েছে তাও বোঝা যায় লিয়াকে নগ্ন অবস্থায় দেখলে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে লিয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।
সতীর্থদের অভিযোগ, লিয়া যে তাঁদের সামনে পুরোপুরি যৌনাঙ্গ ঢেকে রাখেন না এবং অনেকের বক্তব্য, ইচ্ছা করেই তিনি এমন কাণ্ডটি ঘটান। জানা গেছে লিয়াকে অন্য বাথরুম এবং পোশাক বদলানোর ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবিও তুলেছেন মহিলা সতীর্থরা। কিন্তু তারও কোনও ব্যাবস্থা হয়নি।
