নিজের ছবি তুলে পাঠাতে বলা হয়েছিল স্নানঘর থেকে। “বাথটবের মধ্যে হোমওয়ার্ক করার একটি ছবি পাঠাতে বলা হয়েছিল। স্কুল শিক্ষকের এই নির্দেশের এক আট বছর বয়সী ছাত্রীর বাবা-মা সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু, এতে করে উল্টে তাঁদের সন্তানকেই স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আমেরিকার ফ্লোরিডা প্রদেশের জ্যাকসনভিল এলাকার ভিক্টরি ক্রিশ্চিয়ান অ্যাকাডেমি স্কুলে এই অদ্ভুত ধরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই দম্পতির সন্তানকে তার বাথটবে হোমওয়ার্ক করার ছবি পাঠাতে বলেছে স্কুল, তা জানতে পেরে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছেন মিস্টি এবং ক্রিস্টোফার ডানহাম। মিস্টি ডানহাম এই ব্যাপারে বলেছেন , “কোনও শিশুর ছবি তোলার জন্য বাথটব কখনোই উপযুক্ত হতে পারেনা। আমি শিক্ষককে ব্যাখ্যা চেয়ে ইমেল করেছিলাম। ওরা একেবারেই বাবা-মাকে কিছু পাঠায়নি, আর এর আসলে যে কি উদ্দেশ্য তা জানায়নি। এটি একেবারেই ঠিক না।”
জবাবে ওই শিক্ষক নিজেই জানান যে , ওই ছবি তোলা যেতে পারে তাঁদের শিশুকে পাজামা পরিয়ে কিংবা স্কুলের ইউনিফর্ম পরিয়েও। এর শুধু মজা করা উদ্দেশ্য। কিন্তু ডানহাম দম্পতির এই ব্যাপারটা এতটাও সহজ মনে হয়নি। স্কুলের কার্যালয়ে এবং পরে জ্যাকসনভিল শেরিফের অফিসে ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করেন ওই শিশুর মা মিস্টি ডানহ্যাম। কিন্তু তার ফল যদিও হয়েছে উল্টো। স্কুলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “ এই হোমওয়ার্ক দিয়ে থাকি আমরা বছরের পর বছর ধরে। এটি সম্পর্কে শুধুমাত্র আপনিই অভিযোগ করছেন।”
এরপর, তাঁদের পরামর্শও দেওয়া হয় মেয়েকে স্কুল থেকে ছাডিয়ে নেওয়ার। মিস্টি ডানহাম তা মানেননি। কিন্তু, এরপর “কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই” তাঁদের সন্তানের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে স্কুলের খাতা থেকে বলে অভিযোগ ডানহাম দম্পতির। ভিক্টরি ক্রিশ্চিয়ান অ্যাকাডেমির সভাপতি যাজক জেসি লাট্টা বলেছেন: “ অনেক স্কুলেই দেওযা হয় এই হোমওয়ার্ক। কোনও খারাপ উদ্দেশ্য এর ছিল না। আমাদের শিক্ষকরা এক অভিভাবক অভিযোগ করায় অবিলম্বে ক্লাসের সমস্ত অভিভাবকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের আশ্বস্ত করা হয় যে, কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নেই এই অ্যাসাইনমেন্টের। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার শিশুদের নিরাপত্তা।”