শুক্রবারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের রাজ্য থেকে অবসরের দিন আগামী ৩১ মে। ওই দিনই অর্থাৎ আগামী সোমবারেই দিল্লিতে ফিরে গিয়ে তাঁকে নর্থ ব্লকে গিয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কয়েক দিন আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কি যেতে দিতে চাইবে, সেই প্রশ্নই ঘিরেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম। আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের বিষয়ে নবান্ন নিজের অবস্থানে অনড়।
উল্লেখ্য মুখ্যসচিবের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছিল। এর পরেও কি করে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বদলি করা হল? এই প্রশ্ন করে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অভিযোগ বাঙ্গালী মুখ্যসচিব বলেই এমনটা করা হচ্ছে। কেন্দ্র প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মেতেছে। বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল যে কোভিড পরিস্থিতিতে যাতে কিছু দিনের জন্যে আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের অবসর স্থগিত করা হয়। তিনি দক্ষ প্রশাসক, তাকে এই অবস্থায় রাজ্যের প্রয়োজন।
কিন্তু কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ,’১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Bandyopadhyay) কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে যোগদানের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার যোগদান কমিটি। অবিলম্বে তাঁকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৩১ মে সকাল ১০টায় নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে যোগদানের নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে।’
কিন্তু আলাপন বন্দোপাধ্যায় কে যেতে দিতে নারাজ রাজ্য। এই নিয়ে কি ফের সংযত কেন্দ্র ও রাজ্যের? উঠছে প্রশ্ন।