কলকাতার প্রিন্স সৌরভ গাঙ্গুলি। ক্রিকেট জগতের এক অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ডোনা গাঙ্গুলির সাথে বিয়ের পর তিনি গিয়েছিলেন রাজস্থান। কিন্তু এই ঘুরতে যাওয়া কোনও হানিমুন ছিলো না , একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং ছিল। যদিও সেখানে গিয়ে দু রাত একেবারেই ঘুমাতে পারেননি মহারাজ। জি বাংলার অনুষ্ঠান দাদাগিরির মঞ্চে এই কথা নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি!
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসবে যে কি কারণে দাদার এই রকম অবস্থা হয়েছিল! এই অবস্থার কারণ ভুতের ভয়। যে হোটেলে তারা উঠেছিলেন সেটি ছিল রাজস্থান এর যোধপুর, অতীতে একটি কেল্লা ছিল সেই হোটেল। বিশাল বড় বড় ঘর আছে সেই হোটেলে। অবশ্য সেখানে পৌঁছানোর পর থেকেই সৌরভের মনের মধ্যে কেমন একটা খটকা লাগছিলো। তাদের দুজনেরই মনে হচ্ছিল যে কেউ যেন ঘুরে বেড়াচ্ছে ঘরের মধ্যেই। ঘুমন্ত ডোনার পাশে থেকেও কিছুতেই ঘুমাতে পারছিলেন না তিনি। এও বলেছেন যে সেখানে থাকার প্রথম রাতে নাকি শুধু টিভি দেখেই কাটিয়ে ছিলেন তারা।
সৌরভ আরও বলেন যে , তিনি ভোর চারটেয় বেরোতেন শ্যুটের জন্য। সব গুছিয়ে দেওয়ার জন্য ডোনা উঠতেন। কিন্তু তারপর যতক্ষণ না বাইরে ভোরের আলো ফুটছে ঘুমোতেন না। তারপর সকালের আলোয় ঘুমোতে যেতেন জানলা খুলে দিয়ে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন সোহম চক্রবর্তীও দাদাগিরির এই এপিসোডে। দাদাকে অভিনেতাও জানান নিজের অভিজ্ঞতার কথা যে তিনিও শ্যুটে গিয়ে ভয় পেয়েছেন। ভুতের অনুভব হয়েছিল পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের একটি সরকারি বাংলোয় গিয়ে। সোহমের কথায়, ‘ গা হাত-পা ভারি হয়ে গিয়েছিল ঘরে ঢুকেই। চোখে-মুখে জল দিচ্ছি বাথরুম গিয়ে মনে হচ্ছে পাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। এরপর যে ছেলেটি ছিল আমার সাথে ওকে রাতে রেখে দিয়েছিলাম। ও পরেরদিন কাউকে একটা ছায়া মতো বাথরুম থেকে বের হতে দেখেছে বলে জানিয়েছিল।’