একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তাঁকে টিকিট দেয় নি। টিকিট না পাওয়ায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন সোনালি গুহ (Sonali Guha)। খোলাখুলিই সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক বলেছিলেন, ‘দিদি এখন অনেক পাল্টে গিয়েছেন’। এরপরই খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে BJP-তে যোগদান করেছিলেন একদা তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সময়ের ভীষণ ঘনিষ্ঠ সোনালী গুহ। বিজেপি থেকে টিকিট ও মেলে। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিজেপির হয়ে। তারপর বিধানসভার ফল ঘোষণার পর সোনালী গুহ তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রীতিমতো কাকুতিমিনতি করলেন সোশ্যাল মিডিয়া তে। তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশে সোনালি একটি খোলা চিঠি টুইট করেছেন ।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্দেশে সোনালি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার প্রণাম নেবেন, আমি সোনালি গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম, যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু, সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি, আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন’।
উল্লেখ্য, ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে ঐতিহাসিক জয়ের পর কালীঘাটে বাস ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলবদলুদের দলে ফেরার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আসুক না। কে বারণ করেছে? এলে স্বাগত!’ প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘদিনের সঙ্গী ছিলেন সোনালি। মমতার ছায়াসঙ্গী হিসেবেই এই রাজ্যের রাজনীতিতে পরিচিত সোনালি গুহ। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের মুখে সোনালির তৃনমূল ছেড়ে বিজেপি তে যোগদান ঘিরে জোর চর্চা হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।