সারাদিন খাটুনির পর আমরা বিশ্রামের জন্যে বিছানায় যাই। আর বিছানায় গিয়ে মাথাটা রাখি বালিশের উপর। তারপর নিদ্রায় শায়িত হই সাত থেকে আট ঘন্টা বা তারচেয়েও অধিক সময় নিয়ে। আচ্ছা যেই বালিশে মাথা রাখছেন, সেই বালিশের কভার পরিষ্কার তো? নাকি বালিশের কভার অপরিষ্কারের কুফল সম্পর্কে জানেন না বলে আর খেয়াল করছেন না। কিন্তু এই অপরিষ্কার খোলে ঘুমালেও যে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা কী আপনার জানা আছে?
১) অনেকের ত্বকের ছিদ্র বা পোর দিনদিন বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। তবে কেন এমন হচ্ছে তা আমরা কেউই বুঝে উঠতে পারি না। শুনে অবাক হতে পারেন! অপরিষ্কার বালিশের খোল আপনার ত্বকের ছিদ্র বড় হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে! খুশকি, তেল, নোংরা, ধুলো, ব্যাক্টিরিয়া— এ সবই ত্বকে ছিদ্র ও পিম্পল বাড়িয়ে দিতে পারে।
২) আপনার চুল আগের মতো ঝলমলে নেই, চুলে প্রচুর খুশকি, চুলের আগা ভেঙে যাচ্ছে। আপনি নানা ধরণের অভিযোগ করছেন কিন্তু আপনি কি জানেন এই সব আপনার অপরিষ্কার বালিশের কভার থেকে হচ্ছে? আপনার বালিশে বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, পুরোনো তেল, জীবাণু আপনার চুলে লেগে তা ছড়িয়ে পরছে আপনার মাথার চুল ও মাথার ত্বকে।
৩) অনেকের ঘাড়ে কালো দাগ থাকে। আবার কারও কারও ঘাড়ে ফাটা দাগও পড়ে যায়। ময়লা ভেবে স্নানের সময় ছোবরা দিয়ে ডলেও তা তোলা যাচ্ছে না বা কোনও ক্রিম ব্যবহারেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না? তা হলে জেনে নিন, বালিশের খোলে লেগে থাকা ফাঙ্গাস ত্বকের সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে কালো দাগ সৃষ্টি করে। তাই নিজের বালিশের খোল কখনও নোংরা রাখবেন না।
৪) আপনার শরীরের অ্যালার্জি দিন দিন বাড়ছে, ঔষধ খেয়ে কমছে না। বালিশের কভারের ভাইরাসজনিত, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের সংস্পর্শে এসে অ্যালার্জি বাড়তে থাকে।
এই সমস্ত কারণে তিন থেকে চার দিন অন্তর অন্তর বালিশের খোল ধুয়ে ফেলুন। অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা শ্রেয়। জলে অ্যান্টিসেপ্টিক মিশিয়ে তাতে বালিশের খোল পরিষ্কার করতে পারেন। আবার বালিশের খোলের ওপর পরিষ্কার তোয়ালে মুড়িয়ে ঘুমালে আরও ভালো।