উপার্জনের বিভিন্ন রকমের উপায় রয়েছে পৃথিবীতে। এখানে কেউ ঘুমিয়ে টাকা উপার্জন করে কেউ চুয়িংগাম চিবিয়ে। কিন্তু কোন কাজ না করেই অনেক টাকা উপার্জন করা অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো।
বছর আটত্রিশ এর শোজি মরিমোটো। শোজি টোকিও এ থাকেন । তাঁরই মস্তিস্কপ্রসূত ‘ডু নাথিং রেন্ট আ ম্যান’-এর ভাবনাটি। নিজের পড়াশোনা সঠিকভাবে শেষ করার পরও কোনোভাবেই কোনো চাকরি পাননি। বেকার হয়ে থাকা জীবনে কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। চাকরি না পেলেও তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিছু একটা করতে হবে । যদিও কোনও ব্যবসা নয় অন্য কিছু করার কথাই ভেবেছিলেন। তিনি প্রথমে একটি টুইটার একাউন্ট খোলেন ‘ডু নাথিং রেন্ট আ ম্যান’ নামে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের সেই একাউন্ট এ যোগাযোগ করতে থাকেন। কিন্তু কি এমন করেন তিনি যে এতো মানুষ যোগাযোগ করতে রাজি হয়েছে?
এমন অনেকেই থাকেন যারা বাড়িতে কোন কাজ করেন না চুপ করে বসে থাকেন। বাড়িতে অন্যান্য সদস্যরা ব্যস্ত থাকেন বলে সেভাবে সময় দিতে পারেন না তাদের । শোজি অনেকের একাকীত্বের সঙ্গী হন। কিন্তু তার কী কাজ? যাদের সাথে কথা বলার মতো লোক নেই, অভাব রয়েছে মানুষের কথা বলার তাদের সাথে কথা বলা। অথবা একটু পাশে বসে থাকা খাওয়াদাওয়ার সময়ে। তবে মুখ খোলেন না তিনি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া। শোজির দায়িত্ব এটাই।
যদিও শোজি কিন্তু খুব পেশাদার মানুষ। কাজের বাইরে কারও সাথে কোনওরকম যোগাযোগ রাখেন না। কোনও গ্রাহকের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক যাতে গড়ে না ওঠে, সে বিষয়েও অত্যন্ত সতর্ক। কাজের সময়ে নিজের মুখ বন্ধ রাখেন তিনি, তাঁর এই ভিন্ন ধারার পেশার ব্যাপারে মুখ খুলেছেন শোজি। তিনি জানান , ‘‘আমি আমার কাজ নিয়ে খুব সচেতন। অর্থ উপার্জন করি নিজের উপস্থিতির বিনিময়ে। অল্প সময়ের জন্য হলেও কেউ যদি আমার সঙ্গ পেয়ে একাকীত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, সেটাই কাম্য।’’ ইতিমধ্যে প্রায় ৩০০০ জন শোজিকে অনুসরণ করে এই পেশায় এসেছেন।