সমগ্র দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে নারীরা পড়ছে এক অদ্ভুত যৌন হেনস্থার মুখে। যেটি এখনও অবধি যৌন অপরাধ বা সেক্স ক্রাইম এর আওতায় আনা না হলেও মহিলাদের জন্য তা দিনে দিনে উদ্বেগজনক হয়ে দাড়াচ্ছে। বহু মহিলা এমন হেনস্থার সন্মুখীন হচ্ছেন, এবং দাবি করছেন তারা বীর্য সন্ত্রাসর(Semen terrorism) শিকার হয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রতিবাদের সুর চড়ছে ক্রমশঃ। অবস্থা এমনই উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে যে সেই দেশের যৌন অপরাধ সম্পর্কিত আইনের পরিবর্তন চাইছেন সেই দেশের নেতৃত্বরা।
কী এই ‘বীর্য সন্ত্রাস’ ?
“বীর্য সন্ত্রাস” বা semen terrorism কথাটির ব্যবহার প্রথম করা হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটা হল গত বেশ কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ কোরিয়ায় এক অদ্ভূত ধরণের যৌন হেনস্থা মূলক প্রতিশোধ স্পৃহা দেখা যাচ্ছে পুরুষদের মধ্যে। ২০১৯ সালে প্রথমবার এই ঘটনার কথা শোনা যায় দক্ষিণ কোরিয়ার যখন এক মহিলার জুতোতে বীর্য লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আসে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই দেশের আদালত ওই ব্যক্তিকে ৪৩৫ ডলার জরিমানা করে। কিন্তু সেটিকে যৌন অপরাধ হিসেবে দেখা হয়নি, দেখা হয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পত্তি নষ্টের অপরাধ হিসেবে। কেনোনা এই জাতীয় অপরাধ কে সেক্স ক্রাইম বলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট কোনও আইনই নেই। এর পর থেকে অনেক পুরুষই মহিলাদের কোনও ব্যবহার্য দ্রব্য বা জিনিসের উপর বীর্যপাত করে হেনস্থা করছে। ঘটনাগুলি এতই বেড়েছে যে চিন্তিত সেই দেশের মহিলারা। বহু সময় কোনো মহিলার কফির কাপে, পার্স ইত্যাদিতে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বীর্য। কিন্তু প্রতিবারই অভিযুক্ত জরিমানা বা ইত্যাদি দিয়েই ছার পেয়েছে কেনোনা এটি সেক্স ক্রাইম এর আওতায় পড়ে না। নাগরিকরা এই অপরাধকে সিমেন টেরোরিজম বা বীর্য সন্ত্রাস বলতে শুরু করেছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার মহিলা কমিশনের মহাসচিব Choi Won-jin এই বীর্য সন্ত্রাস বিষয়ে বলেন, এই অপরাধ কোনো ছোটখাটো অপরাধ নয়। এটি মারাত্মক যৌন অপরাধ। ইচ্ছাকৃত ভাবে মহিলাদের টার্গেট করে এটা করা হচ্ছে। ফলে যৌন অপরাধ এর তালিকাতেও এটি আসে।