শহরের বুকে সল্টলেক এর একটি স্কুল থেকে ছাত্র সমেত নিখোঁজ’ হয়ে স্কুল বাস। এমনটাই বক্তব্য ছিল অভিভাবকদের। জানা গিয়েছে শুক্রবার বেলা ১২টার সময় স্কুল শেষ হওয়ার পর দুটি বাসে করে স্কুলের প্রায় ৪০ জন স্টুডেন্ট বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। তার পর থেকেই তারা নিখোঁজ। তারা কেউ বাড়ি পৌছাইনি। কোথায় গেল তারা এই নিয়ে দিনভর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। অবশেষে মিলল উত্তর।
করোনা মহামারীর সময় বন্ধ ছিল স্কুল। এরপরে আজই প্রথম খুলেছিল সল্টলেক শিক্ষা নিকেতন। জানা গেছে এই দিন স্কুল দুপুর ১২টায় ছুটি হয়ে যায়। সূত্র অনুযায়ী বাসে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস এইট অবধি ক্লাসের বাচ্চারা ছিল। কিন্তু ছুটির পর স্কুল বাসে করে রওনা দিয়ে দিলেও ২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি পৌঁছয়নি কোনো পড়ুয়ারা। এরপরই স্কুলে পৌঁছায় অভিভাবকরা। তাদের সন্তানরা কোথায় গেল জানতে চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান তারা। তারা জানান স্কুল বাসের চালকদের ফোনে বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো তাঁদের প্রত্যেকের ফোন আসছিল সুইচড অফ অবস্থায়। এরপরেই তৈরি হয় আতঙ্ক। পড়ুয়া দের কোন ক্ষতি হয়ে গেল না তো। কোথায় গেল বাস। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি চেয়ে আতঙ্কে উদ্বেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। তল্লাশি শুরু হয় স্কুল বাচ্চাদের খোঁজে। অবশেষে জানা গেছে তারা প্রত্যেকেই সুরক্ষিত ভাবেই নিজের নিজের বাড়িতে পৌঁছেছেন। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে সিস্টেমিকাল সমস্যার জন্য বাচ্চাদের স্কুল থেকে বাড়িতে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি পড়ুয়াদের যে বাসে উঠতে বলা হয়েছিল তারা সেই বাসে না উঠে অন্য আরেকটি বাসে উঠে পড়ে। তাই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তারপরেও প্রশ্ন ওঠে তাই যদি হয় চালক ফোন ধরবে না কেন। কি করে তার ফোন সুইচ অফ থাকে। এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাফাই একসাথে এত জনের ফোন আসায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। অভিভাবকদের অভিযোগ ঠিক ভাবে সহায়তা করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে।
দীর্ঘসময়ের উৎকণ্ঠার শেষে অবশেষে পড়ুয়ারা বাড়ি ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে। তবে কি করে মাঝখানের এতটা সময় কোন তথ্য পাওয়া গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।