আজই মুক্তি পাবে রাধে। কিন্তু দেশ জুড়ে করোনা আঘাত হেনেছে দ্বিতীয় বার। তাই বড় পর্দায় মুক্তি পেলো না রাধে। ওটিটি (OTT) প্লাটফর্মে রিলিজ করছে রাধে।
রাধে’-র মতো সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে আসছে না। কতোটা মিস করবেন বড় পর্দাকে? জানালেন খোদ সালমান খান। তিনি বলেন সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়ার জন্যই ‘রাধে’ বানানো। গত বছর ঈদে রিলিজ করার কথা ছিল, কিন্তু সেই সময় লকডাউনের কারণে ছবির মুক্তি এক বছর পিছিয়ে দিলাম। এই বছরও জানিয়েছিলাম ঈদে আসব। কিন্তু আবারও সেই লকডাউন বাদ সাধল। এমন পরিস্থিতিতে আমিও কখনও চাইব না দর্শক প্রেক্ষাগহগুলোতে এসে ছবিটা সিনেমা দেখুক আর কোভিড স্প্রেড করুক।
কিন্তু অনেকটাই কি লোকসান হয়ে গেলো?
ভাইজান বলেন ‘রাধে’ ওটিটি রিলিজ় করানোর একটাই কারণ, দর্শক যাতে কোভিড পরিস্থিতিতে নিরাপদে বাড়িতে বসে ছবিটা দেখতে পারেন। লস নিয়ে ভাবছি না, তার ভার আমি মাথা পেতে নিয়েছি। করোনা পরিস্থিতি মিটলে আবার হলে রাধে আসবে।
ভারতের এই রকম সঙ্কট কালেও মানুষের যথেষ্ট সচেতনতা নেই। এখনও অনেক মানুষ মাস্ক পরছেন না, সামাজিক দূরত্ববিধি মানছেন না, তাঁদের উদ্দেশে কি বার্তা দিলেন ভাইজান?
সালমান জানান ১.৫ বছর হয়ে গেল আমরা এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, এখনও যদি মানুষ সচেতন না হয় কবে হবে? আর এই বার যে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে সেটা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। আগের বছর পাড়া প্রতিবেশীর আক্রান্তের খবর শোনা যেত। কিন্তু এ বার কোভিড বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে পড়েছে । তাই সালমান সবাই মে একটা কথাই বলতে চান, প্রত্যেকে ভ্যাকসিন নিন। সালমান এর বাবা মার সেকেন্ড ভ্যাকসিন ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতড়িই মধ্যে ভাইজানেরও সেকেন্ড ডোজ় নেওয়া হয়ে যাবে। পাশাপশি সালমান খান আরো বলেন, “ভ্যাকসিন নিয়েও কোভিড আক্রান্ত হচ্ছে, তবে কাউকে ভেন্টিলেশন পর্যন্ত পৌঁছতে হচ্ছে না। আমরা প্রত্যেকেই খুব নিকট কাউকে না কাউকে হারিয়েছি। তাই সকলকে খুব সাবধানে থাকতে হবে।
পাশাপাশি ভাইজান এই কঠিন সময়ে কিভাবে নিজেকে আশাবাদী রাখবেন সেই বিষয়েও নিজের মতামত দেন। সালমান বলেন বি স্ট্রং, স্টে স্ট্রং এগুলো যত সহজে বলা যায় তত সহজে মানা যায়না। যাঁরা প্রিয়জনকে হারাচ্ছেন বা খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, সেই সব মানুষ জানেন কি হারাচ্ছেন। শুধু একটাই অনুরোধ আমার সকলের কাছে, করোনায় লকডাউন, সামাজিক সুরক্ষাবিধি ইত্যাদি কড়া ভাবে মেনে চলুন, যাতে আমরা খুব তাড়াতাড়ি আবার নিজেদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পাই। কিন্তু একটা ব্যাপার এই পরিস্থিতিতে সালমান খান কে সব থেকে বেশি কষ্ট দিয়েছে যা হল ওযুধ আর অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি করা। তিনি বলেন এই কঠিন পরিস্থিতিতে যারা এটা করছে তারা তাদের পাপের ফল নিশ্চই পাবে।