নিজেকে যশুয়া ব্রুম থেকে রোকো রিড
তৈরী করে খ্যাতি লাভ করেছেন যথেস্ট। রোকো রিড নাম নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমার জগত একেবারে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। এর শুরুটা ২০০৫-২০০৬ সালে হয়েছিল। সিনেমার জগতে অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন তিনি। হলিউডে অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে লস এঞ্জেলসে ২১-২২ বছর বয়সে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু, হলিউড বদলে গিয়ে জীবন শুরু হল পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে।
আসলে কেউ পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁকে পর্ন শিল্পে ঢুকে গেলে, চলচ্চিত্র তারকা হওয়ার সম্ভাবনা তাঁর আরও বাড়বে। সেই পরামর্শ মেনে তিনি প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেই যে শুরু হয়েছিল, তারপর যশুয়ার হলিউডের স্বপ্ন, পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতেই ডুবে গিয়েছিল। পরের পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি রোকো রিড ছদ্মনামে ১,০০০টিরও বেশি এক্স-রেটেড সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন।
পর্ন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হয়ে উঠেছিলেন রোকো রিড। তবে, ‘অসম্ভব মানসিক চাপ’এর শিকার হয়ে, ২০১২ সালে তিনি এই কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। এই জনপ্রিয় পর্ন তারকার আচমকা বিদায়ে সকলে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। পরে যশুয়া জানিয়েছেন, সেই সময়ে তিনি আক্ষরিক অর্থে পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর গোটা জীবনটাই মিথ্যা এবং কল্পকাহিনীতে ভরে গিয়েছিল। নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সেই সময় তিনি আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু, সাহসে কুলায়নি।
তিনি আরও বলেছেন, অর্থ উপার্জন করলেই খুশি থাকবেন, এই মিথ্যা বিশ্বাস ছিল তাঁর। পর্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছিলেন। কিন্তু, তাও তাঁর মনে দুঃখ এবং শূন্যতা আরও বেড়ে গিয়েছিল।
পরের দুই বছরে, যশুয়া ব্রুম আবার নিজের জীবন পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি একটি জিমে কাজ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে তিনি তাঁর অতীত সম্পর্কে সকলের কাছেই মিথ্যা বলেছিলেন। তবে, ২০১৪ সালে তাঁর জীবনে এসেছিলেন ‘হোপ’ নামে এক মহিলা, আর তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই জীবন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছিল ব্রুমের। হোপ-এর সঙ্গে যশুয়া ব্রুম গির্জায় যাওয়া শুরু করেছিলেন। তারপর, বাইবেলের ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করা শুরু করেন। ক্রমে গির্জার ধর্মপ্রচারক হয়ে ওঠেন। বর্তমানে তিনি আইওয়ার গুড নিউজ ব্যাপটিস্ট চার্চের একজন যাজক। গোটা আমেরিকা জুড়ে তিনি শিক্ষাদান ও ধর্মপ্রচারের কাজও করে থাকেন। ২০১৬ সালে হোপকে বিয়ে করেছিলেন যশুয়া। এখন তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে।