বর্তমান যুগে যৌনতা নিয়ে মানুষের মনে আর আগের মতো আরষ্টতা নেই, মানুষ এখন যৌনতা নিয়ে উন্নত চিন্তাভাবনা রেখে থাকেন। শুধুমাত্র একজনের সাথেই যৌন সঙ্গম করা যাবে , আজকের সমাজ সে কথা তোয়াক্কা না করে বরং আরো এগিয়ে গেছে। কিন্তু সাথে এটাও মানতে হবে যে, এই যৌনতার ব্যাপারে যতই পরীক্ষামূলক হবেন আপনার জীবনে যৌনরোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকবে। খোলসা করে বললে যদি আপনি সুরক্ষাকবচের সাহায্য না নেন এবং যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন তবে বিভিন্ন ধরনের এসডিটি (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজ়িজ়) বা এসটিআই (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন) হতে পারে। বেশ কয়েকটি সমস্যা আছে বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে – যদিও শুরুতে খুব সামান্য মনে হলেও এই সমস্যা গুলি পরবর্তীকালে সামগ্রিক স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে আপনার। সবথেকে বেশি যে সমস্যা গুলি দেখা যায়, সেগুলি নিয়েই একটু আলোচনা করা হল।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (SPV):
যে এসটিডি বা এসটিআইগুলি দেখা যায় মহিলাদের মধ্যে, এইচপিভি সবচেয়ে কমন তার মধ্যে। কিন্তু সারভাইকাল ক্যানসারেরও অন্যতম কারণ এইচপিভি। বর্তমানে যদিও এর টীকা বেরিয়ে গিয়েছে এবং সুরক্ষাকবচ হিসেবে তা অনেক কম বয়সেই নিয়ে রাখা যায়। আপনার শরীর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইচপিভি প্রতিরোধ করে দেয় নিজের থেকেই, তা সম্ভব না হলে কিন্তু জেনিটাল ওয়ার্টস হতে পারে। অনেক সময় সংক্রমণ হয় মুখ আর গলাতেও।
ক্ল্যামাইডিয়া:
এটা অত্যন্ত কমন এসটিডি। সাধারণত ক্ল্যামাইডিয়া হলে প্রস্রাব করার সময় জ্বালাভাব আর দুর্গন্ধযুক্ত ক্ষরণ হয় ভ্যাজাইনা থেকে। এমনটা হতে পারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে, সেরে যায় অ্যান্টিবায়োটিক দিলে। তবে একসঙ্গে ওষুধের কোর্স কমপ্লিট করতে হবে দম্পতিদের দু’জনকেই। আরও একবার মাস তিনেক বাদে পরীক্ষা করে তবে যে সংক্রমণ পুরোপুরি কেটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়।
জেনিটাল হারপিস:
ভ্যাজাইনার আশপাশে সাধারণত যন্ত্রণাদায়ক ছোট ছোট ফোসকা দেখা যায় হারপিস ভাইরাস আক্রমণ করলে। সংক্রমণ খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ভাইরাল সংক্রমণ, তাই কোনও রাস্তা নেই নিয়ন্ত্রণের। তবে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় ব্যথা বা জ্বালা কমানোর ওষুধ খেয়ে।