তাঁর কোনও খোঁজ নেই দীর্ঘদিন। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১২ বছর। অর্থাৎ একযুগ। এতদিন পরে আচমকাই ‘মৃত’ ব্যক্তির লেখা এক চিঠি এসে পৌঁছল! তাও পাকিস্তানের (Pakistan) জেল থেকে। এমনই আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে বিহারের (Bihar) বক্সারে।
বছর আঠারোর ছাভি ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। আচমকাই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর আর তাঁর খোঁজ পাননি বাড়ির লোক। প্রথম দিকে আশপাশের অঞ্চল ও আত্মীয়স্বজনের বাড়ি খোঁজাখুঁজির পরে পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খিলাফৎপুরের বাসিন্দা ওই তরুণের কোনও খোঁজই মেলেনি। এই ভাবে বছর দুয়েক যাওয়ার পরে অবশেষে সব আশা ছেড়ে দেয় পরিবার। তাঁরা ধরেই নেন ছাভি আর বেঁচে নেই। সেইমতো তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়াও সম্পন্ন হয়।
এরপর কেটে গিয়েছে আরও দশ বছর। আচমকাই পুলিশ যোগাযোগ করে ছাভির পরিবারের সঙ্গে। জানায়, তাদের কাছে পাকিস্তান থেকে এক চিঠি এসে পৌঁছেছে। প্রেরকের নাম ছাভি! তিনি নিজেকে খিলাফৎপুরের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেছেন। চিঠিটি এসেছে স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাছে। সেখানে আলাদা করে কোনও নির্দিষ্ট ঠিকানা বলা নেই। কিন্তু অবশেষে পুলিশ খোঁজ পেয়েছে ছাভির পরিবারের।
কিন্তু পাকিস্তানের জেলে গেলেন কী করে ওই তরুণ? এখনও সেই রহস্যের সমাধান করা যায়নি। তবে ছাভি বেঁচে আছেন, এটা জানতে পেরে খুশির ঢেউ নেমেছে তাঁর বাড়িতে। এবার সকলে মিলে অপেক্ষা করছেন কবে ছাভি ফিরে আসেন।
মারা গিয়েছেন ছাভির বাবা। তবে রয়েছেন তাঁর মা ও দাদারা। আপাতত অপেক্ষায় অধীর তাঁরা। এখনও জানা যায়নি পাকিস্তানের কোন জেলে রয়েছেন ছাভি। তবে খোঁজ শুরু হয়েছে। আশা, খুব দ্রুত মিলবে খবর। সেই আশাতেই বুক বেঁধে ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় সবাই।