এই কয়েক বছর আগের কথা , ইন্টারনেট বা হাতে হাতে ফোন সেই যুগে এত সহজলভ্য ছিল না। নিষিদ্ধ সিনেমা দেখা হত লুকিয়ে চুরিয়ে। এখনও লুকিয়ে চুরিয়ে দেখা হয়। কিন্তু আগে সুযোগ খুব কম ছিল দেখার। বরং সে সময় বটতলার নিষিদ্ধ বই ছিল সস্তা এবং হাতের নাগালে। নিষিদ্ধ অশ্লীল গল্প যেন রীতিমতো চেটেপুটে খেত সবাই, সকলে ঘুমিয়ে পড়লেই।তখন কম পয়সার বিলাসিতা বলতে এটাই ছিল সঙ্গীহীন একাকী জীবনের বিনোদন।
ইন্টারনেট এখন ঘরে ঘরে। ওয়াই ফাই ফ্রি। আবার স্মার্ট মুঠোফোন হাতে। ফলে যখন খুশি তখনই ঝাঁপ দেওয়া যায় নিষিদ্ধ দুনিয়ায়। কিচ্ছু কেউ বলবে না। লুকানোর ঝামেলা খুব বেশি নেই। কারণ যার যার ব্যক্তিগত স্মার্টফোন। এদিকে আওয়াজ বন্ধ করতে কানে হেডফোন। তারপর চোখ সরে না স্ক্রিনের থেকে। আর বিশ্বজুড়ে পর্ণগ্রাফির বাজারের বেজায় রমরমা প্রযুক্তির এই আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে।
নর-নারীর উদ্দাম যৌনতার নগ্ন ছবি, কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা করে। কিশোর থেকে প্রৌঢ়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোটি কোটি এর দর্শকের সংখ্যা।
একদিকে অভিনেতা অভিনেত্রী এবং কলাকুশলীরা যেমন নগ্ন শরীর প্রদর্শন করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন, অন্যদিকে দর্শকও এসব দেখতে খরচ করতে পিছপা হন না। এ যেন আধুনিক যুগের এক ধরনের আদিম নেশা। এই নেশা থেকে বেশ কঠিন বেরিয়ে আসা। আর এই নেশা একবার যদি আপনাকে চেপে ধরে তাহলে আপনাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না সর্বনাশের হাত থেকে। এই নেশার ক্ষতি মদ, গাঁজা, সিগারেট, ড্রাগ কোনো কিছুর থেকেই কম নয়।
মানুষ পর্নোগ্রাফির নেশা একবার ধরলে অবসাদগ্রস্ত মানসিকভাবে হতে শুরু করে। একা হয়ে যেতে থাকে সকলের থেকে। দেখা দেয় মানসিক বিকার।
পর্নোগ্রাফি অনেকেই কম বেশি দেখেন। তবে সবাই তা বলে কিন্তু নেশাগ্রস্ত নন। সামান্য মাঝে মধ্যে দেখা বিনোদনের জন্য আর নিত্যদিন দেখার অভ্যাস তৈরি করা দুটি কিন্তু আলাদা।
কীভাবে বুঝবেন যে পর্নগ্রাফির নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন আপনি?
*পর্নোগ্রাফি দেখতে বার বার ইচ্ছে করে। কিছুতেই আটকে রাখতে পারেন না নিজেকে।
- সময় এবং অর্থ ক্রমাগত ব্যয় করেই চলেছেন পর্নোগ্রাফি দেখার জন্য। অস্থির হয়ে পড়ছেন কাছে টাকা না থাকলে।
*পর্নোগ্রাফি ছবির ভিডিওর দৃশ্য সারাদিন মাথায় ঘুরে চলেছে।
*পর্ণগ্রাফি দেখে চলেছেন অফিস কিংবা বাড়ির দরকারি কাজ স্থাগিত রেখে।
- শরীর অস্থির করে, মন আনচান করে কোনও কারণে পর্ণগ্রাফি দেখা না হয়ে উঠলে। মন বসাতে পারেন না কোনও কাজেই। বেজায় রাগ হয় মনে মনে।
*জীবনে যতই চড়াই উতরাই হোক না কেন আপনি পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখতে থাকেন কোনোকিছুকে গ্রাহ্য না করেই।
আপনি পর্নোগ্রাফিতে আসক্তো বুঝে যাবেন উপরের কারণগুলির মধ্যে দু চারটে মিলে গেলেই ।