Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

ভুঁড়িতেই সুদর্শন! কঠিন পরিশ্রমে ভুঁড়ি বাড়ান এই গ্রামের অবিবাহিত পুরুষেরা।

আধুনিক দুনিয়ায় রমরমা সিক্স প্যাক আবস – এর। নিজের পছন্দের সুঠাম শরীর পেতে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান বহু মানুষ। হালফিলের যুগে তাই টান টান চেহারারই রমরমা। তেল ছাড়া সেদ্ধ খাবার আর প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট ডায়েটে রেখে নিজের শরীরের এক্সট্রা ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলাই লক্ষ। নিজেকে সুপুরুষ দেখাতে ভুঁড়ি ছেটে ফেলতে

কিন্তু এই প্রদেশে সবই উলোটপূরণ। ভুঁড়িওলা পুরুষ এই জায়গায় সুপুরুষ বলে গণ্য হয়। শুধু তাই নয় রীতিমত ৬ মাস ব্যাপী পরিশ্রম করে এই অঞ্চলের অবিবাহিত পুরুষেরা ভুঁড়ি বাড়ানোর লক্ষ্যে। কার সব থেকে বড় ভুঁড়ি এই নিয়ে হয় এক বিশাল প্রতিযোগিতা। যিনি প্রতিযোগিতায় যেতেন গণ্য হন গ্রামের শ্রেষ্ঠ পুরুষ। রাজার হালে কাটান আগামী ছয় মাস। এই আজব নিয়ম রয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম ইথিওপিয়া তে।

নিয়ম অনুযায়ী এই গ্রামের প্রতি পরিবারের কোনো এক বা একাধিক অবিবাহিত পুরুষ এই ভুঁড়ি বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এর জন্যে চলে কঠোর নিয়ম কানুন। প্রত্যহ বাছুরের বা গরুর তাজা রক্ত ও দুধ বরাদ্দ থাকে তাদের জন্য। ভুঁড়ি বাড়ানোর জন্য তারা খাওয়া দাওয়া বাড়িয়ে দেয় অস্বাভাবিক ভাবে। ফল স্বরূপ অনেকের পেটের মাপ এতোটাই বেড়ে যায় যে চলতে ফিরতে গিয়ে তারা পড়েন সমস্যায়। কিন্তু কোনো কিছুতেই ভুঁড়ি বাড়ানোর চেষ্টায় তাদের খামতি পরে না।

অবশেষে প্রতিযোগিতার দিন এলে সকল ভুড়িওয়ালা পুরুষ উপস্থিত হয় একত্রে। উপজাতির নিয়ম অনুসারে প্রত্যেকে গায়ে মাখেন ছাই। এরপর মাপা হয় ভুঁড়ির আয়তন। যেই পুরুষের ভুঁড়ি সব থেকে বড় হয় তার মাথায় ওঠে বিজয়ীর মুকুট। প্রতিযোগিতার পরের ছয় মাস কাটে রাজার হালে।

অবশ্য প্রতিযোগিতার পরে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফেরে সকলে। ভুঁড়ির মাপ কমিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।

Related posts

দেশের করোনা সংক্রমণ একইভাবে উর্দ্ধমুখী হয়ে থাকলো রবিবারেও, বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস

News Desk

পাকিস্তানের জেল থেকে বিহারে এলো ১২ বছর আগে মৃত ব্যাক্তির চিঠি! উঠছে প্রশ্ন!

News Desk

‘কেউ আমাদের এক হতে দেবে না..’, কি কারণে, লিখে রেখে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ যুগলের!

News Desk