এমনও হয় দুনিয়ায়! পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে প্রতিদিন কত কি না ঘটে চলেছে। বিহারের মতিহারিতে দুই সন্তানের বাবার সঙ্গে তিন সন্তানের জননী পলাতক। সেখানকার রঘুনাথপুর থানা এলাকার মজুরাহা করি মাই নামক স্থানের কাছে বসবাসকারী শত্রুঘ্ন পাসওয়ানের স্ত্রী সোনা দেবীর প্রতিবেশী ভাবীখন রাম নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এই ভাবীখন রামও ইতিমধ্যে দুই সন্তানের বাবা। ১০ দিন আগে তিন সন্তান ও স্বামীকে রেখে প্রেমিক ভাবীখানকে নিয়ে পালিয়ে যায় সোনা দেবী। এরপর সোনা দেবীর স্বামী প্রতিবেশী ভাবীখান রাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে অপহরণের মামলা করেন। শত্রুঘ্ন পাসওয়ান রঘুনাথপুর পুলিশ স্টেশনে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেছিলেন।
এদিকে পুলিশ খবর পায় যে উভয়ের মধ্যেকার এই সম্পর্ক নিয়ে গ্রামে পঞ্চায়েত বসছে। যেখানে সোনা ও তার প্রেমিক রামও যোগ দিয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে। চাঞ্চল্যকর বিষয় এই যে ভাবীখান রাম আগে থেকেই একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
প্রেমিকের বাড়িতে থাকতে চায় নারী!
পরে পুলিশ ওই যুবককে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। একই সঙ্গে ওই নারীকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে হাজির করে পুলিশ। যেখানে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি স্বামীর সঙ্গে নয়, প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চান। এরপর আদালতের নির্দেশে পুলিশ ওই নারীকে তার প্রেমিকের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্তকারী বিবেকানন্দ সিং জানান, সোনার স্বামী ভাবীখান রামের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যদিও পুলিশ সেই অভিযোগ পাওয়ার পরে ভাবীখান রাম ও ওই মহিলা অর্থাৎ সোনা দেবী কে আটক করলে তদন্তে বিষয়টি পরিষ্কার হয় যে আদৌ ওই গৃহবধূকে অপহরণ করা হয়নি। সে তার নিজের ইচ্ছায় প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে গেছিল। এমনকি আদালতে ওই নারী নিজের প্রেমিকের সঙ্গেই বসবাসের ইচ্ছা ব্যাক্ত করেন। এরপর তাকে প্রেমিকের বাড়িতেই পাঠানো হয়েছে। অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, ভাবীখান রাম, যার সঙ্গে ওই মহিলা পলাতক ছিলেন, তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে৷ ২০১৯ সালে মাজুরাহাতে আরো এক মহিলার সাথেও ভাবীখান রামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তারপরে তিনি মহিলার স্বামীকে হত্যা করেছিলেন। এতদিন পুলিশের চোখ এড়িয়ে ভালোই চলছিল কিন্তু এবার নতুন মামলায় আবারও জড়িয়ে পড়লে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।