আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তাঞ্চল পাকিস্তান’- বারবার এই অভিযোগ করেছে ভারত (India)। তুলে দিয়েছে একাধিক প্রমাণও। তবে ইসলামাবাদ (Islamabad) প্রতিবারই সেই অভিযোগ উড়িয়েছে। কিন্তু এবারে প্রমাণিত সেই কথা। বিশ্বের চোখে পাকিস্তান আফগানিস্তান ইস্যুতে যতই ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, কোনও না কোনও ভাবে সত্যিটা প্রকাশ্যে চলেই আসে। এবার ইমরান খানের মন্ত্রিসভারই সদস্য পাকিস্তানের দ্বিচারিতার মুখওশ খুললেন। অন ক্যামেরা পাক মন্ত্রী শেখ রশিদ মেনে নেন যে পাকিস্তান প্রশিক্ষণ দিয়েছে তালিবান জঙ্গিদের। পাশাপাশি ইমরানের মন্ত্রী দাবি করেন যে পাক সরকারই আদতে তালিবানের ‘সংরক্ষক’।
জানা গিয়েছে পাকিস্তানের খবরের চ্যানেল হম টিভিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রশিদ বলেন, ‘আমরাই তো সংরক্ষক তালিবান নেতাদের। আমরা তাদের দেখাশোনা করেছি দীর্ঘ সময় ধরে। পাকিস্তানে আশ্রয় দিয়েছি। পাকিস্তানেই জন্মেছে এবং বেড়ে উঠেছে তালিবানদের প্রত্যেক শীর্ষ নেতা। প্রশিক্ষণ পেয়েছেন আমাদের কাছেই । এখনও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন অনেকে। আমরা সব কিছু করেছি ওদের জন্য।’ যদিও সামাল দেওয়ারও চেষ্টা করেন তিনি পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে। এরপরই নিজেকে সামলে নিয়ে তালিবান নেতা মোল্লা বরাদরের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। জানান, এই শীর্ষ জঙ্গি নেতা পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিল।
যদিও এই প্রথম নয় যে, তাদের যোগাযোগ স্বীকার করে নিল পাকিস্তান (Pakistan) জঙ্গি সংগঠন তালিবানের সঙ্গে। পাক বিদেশমন্ত্রী দাবি এর কয়েকদিন আগে করেছিলেন, আফগানিস্তানে তালিবানকে সমর্থন করতে পাকিস্তান পদক্ষেপ নেবে। আন্তর্জাতিক মহলের কাছে পাশাপাশি পাকিস্তানের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত তালিবান আফগানিস্তানে কবজা করার পরই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান খুশি জাহির করে বলেছিলেন যে, দাসত্বের শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে এসেছে আফগানিস্তান। স্পষ্ট করে দিয়েছিল পাক প্রধানমন্ত্রীর ওই বয়ানও যে, পাকিস্তান তালিবানের সঙ্গেই রয়েছে।