অর্থ উপার্জন করা বেচেঁ থাকতে প্রয়োজনীয়। প্রত্যেকটা মানুষই অর্থ উপার্জনের জন্য নানা উপায় খুঁজে থাকেন। কিন্তু এই টিক এর অভিজ্ঞতা শুনে অবাক হবেন অনেকেই। এই টিকটকার পুরানো জুতোর দৌলতে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছেন। কিভাবে! জেনে নিন!
টিকটকার প্রেপ নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন কিভাবে তিনি ব্যবসার পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন, তারপরে শুধুমাত্র জুতা ক্রয় এবং বিক্রয় করেছিলেন। তিনি শুধু একটা দিকেই মন রাখতে চেয়েছিলেন যাতে আরও ফোকাস করা যায়। প্রেপ জানান যত বেশি অপশন ততবেশি ফোকাস সরে যায় তাই তিনি শুধু জুতার ব্যবসায় মনোযোগ দেন। এবং এই সিদ্ধান্তের জন্য তিনি পস্তান নি কেননা তার উপার্জন একশ গুণ পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হন তিনি।
বিনিয়োগ করেছেন ৯ হাজার, আয় করেছেন ৯ লাখ টাকা:
মহিলাটি প্রথমে কয়েকটি বাছাই করা জুতা কিনতে শুরু করেন, তারপর তার দাম নির্ধারণ করার পরে, তিনি ভাল দামে লাভ রেখে তা বিক্রি করতে শুরু করেন। তিনি এই কাজ ধরে রেখে ধীরে ধীরে ৯ হাজারের ব্যবসা ৯ লাখের কাছাকাছি নিয়ে যান। তার অনুসারীরা তার সাফল্যে খুব মুগ্ধ এবং বারবার তাকে এই সাফল্যের রহস্য জিজ্ঞাসা করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। টিকটকার জানান, তিনি প্রথমে এক জোড়া নীল জর্ডান ট্রেনার জুতা কিনেছিলেন ৯ হাজার টাকায়। তারপর ভালোভাবে পরিষ্কার করে, সেই জুতো তিনি ১৫ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। অর্থাৎ শিপিং কস্ট ছাড়াই এক জোড়া জুতায় প্রায় ৬ হাজার টাকা মুনাফা করেছেন তিনি। এরপর একই ধরনের আরেকটি ব্র্যান্ডের জুতা কিনে বিক্রি করলে লাভ হয় ৪ থেকে ৫ হাজার। এরপর তিনি এক জোড়া লাল জর্ডান জুতা ৫ হাজারে কিনে নেন, তারপর ভালো করে পরিষ্কার করে, এবং মেরামত করে প্রায় ১৯ হাজারে বিক্রি করেন।
ব্যাবসা একইভাবে চলতে থাকে এবং মহিলাটি পুরানো সেকেন্ড হ্যান্ড জুতা কনে এবং তারপরে সেগুলিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করতেন। জুতোর গুণমান পরীক্ষা করে সেটি মেরামত করতেন এবং খরচের দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি করতেন। তার এসব কৌশল শুধু তার ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করেনি। তিনি কম খরচে একটি ভাল লাভজনক ব্যবসার ধারণাও পেয়েছেন, যার কারণে তিনি এখন অন্যদেরকে ব্যবসার কৌশল জানাচ্ছেন। Tiktok অনুগামীরা এখন তাকে এই কৌশল সম্পর্কে প্রচুর প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। তারা জানতে চেয়েছিল যে সে কোথায় সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্যগুলি এত দামে বিক্রি করতে পারে। তার উত্তরটি ছিল eBay। অনলাইন বিক্রয় সাইট ইবেতে তার জুতোগুলি লিস্টিং করেন এবং বিক্রি করেন। তবে এ ধরনের সাফল্য সবাই চাইলেই পাবেন না সেটা বলেও সতর্ক করেন তিনি। এর জন্য উৎসাহ থাকা দরকারি।