Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ‘স্ত্রী’! ২০ বছর দাম্পত্যের পর সন্দেহের বশে ভয়ঙ্কর ঘটালেন স্বামী

স্ত্রী জড়িয়ে পড়েছে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে। ওই মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র সন্দেহ করার কারণে খুনের অভিযোগ উঠলো। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরের চড়ক তলা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই মৃত মহিলার নাম মৌসুমি ব্যানার্জি (Husband Killed Wife Due to Suspect)।

মৌসুমির বাপের বাড়ি জয়নগর থানা এলাকার চালত বেড়িযায়। বাবু ব্যানার্জির সঙ্গে প্রায় বছর ২০ আগে সম্বন্ধ দেখে বিয়ে হয় মৌসুমির। ১৮ বছরের একটি ছেলে ও ১২ বছরের মেয়ে রয়েছে ওই দম্পতির। কিন্তু অভিযোগ, যে বাবু ব্যানার্জী তার স্ত্রীকে প্রচন্ড পরিমানে সন্দেহ করতেন। তিনি মনে করতেন যে তার স্ত্রীয়ের সাথে কোনও অন্যপুরুষের সম্পর্ক রয়েছে। এমনটাই ভাবতেন বাবু ব্যানার্জী। অভিযোগ, এই সন্দেহ থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত তাঁর। মঙ্গলবারও স্ত্রীর উপর চড়াও হন বাবু সন্দেহ থেকেই। অভিযোগ যে মৌসুমীকে লাঠি দিয়ে মাথা থেতলে খুন করেছে বাবু ব্যানার্জি ।

এই ঘটনায় মৌসুমির পরিবারের পক্ষ থেকে সোনারপুর থানায় খুনের (Husband Killed Wife) অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। সোনারপুর থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত বাবু ব্যানার্জি আর ওই অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ এর মধ্যেই তল্লাশি চালানো শুরু করে দিয়েছে।

আবার একদিকে হুগলিতে এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছে বৌদির সাথে অবৈধ সম্পর্কের প্রত্যাখানে। পারিবারিক অশান্তি চূড়ান্ত হয় যখন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কতে পরিবারের কেউ জড়িয়ে পরে। ওই বৌদি সেই অবৈধ সম্পর্কে ইতি টানেন। কয়েক মাস আগেই ওই দেওরের থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তার বৌদি। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বউদি। আর এই কারণেই ওই দেওর অভিমানে আত্মহত্যা করেন।

ওই মহিলার বিয়ে হয় ২০১৪ সালে চুঁচুড়া থানার ঘুটিয়াবাজার এলাকার শেফালী বাগান এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। কিন্তু স্বামীর মাসতুতো ভাই চন্দন দাসের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বিয়ের কয়েক বছর পরেই। জানাজানি হয়ে যায় মাত্র কয়েকদিনে সম্পর্কের কথা। চূড়ান্ত অশান্তি হয় এই কথা জানতে পেরে। ওই গৃহবধূ এই অশান্তি বন্ধ করতেই ওই সম্পর্কের ইতি টানেন।

বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই আবারও চন্দন তার বৌদির বাড়ি যান। এই কয়েকদিনের মধ্যেই আবারও চন্দন তার বৌদিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সম্পর্কে ফেরানোর জন্য জোর জবরদস্তি করেন। কিন্তু ওই মহিলা আবারও সম্পর্কে জড়াতে চাননি। এরপরই চলতি মাসের ২৪ তারিখ চন্দন নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশের তরফ থেকে ময়নাতদন্ত শেষ হলে চন্দনের সৎকারেও যান তার বৌদি।

কিন্তু এবার দেওরের পরিবার ও প্রতিবেশীদের হাতে আক্রান্ত হলেন নিহতের বউদি ও দাদা মৃত্যুর ঘটনার পাঁচদিন পর। চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয় মঙ্গলবার বিকেলে। ঘটনার চুলচেরা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Related posts

বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে থানায় পৌঁছে তোলপাড় করলেন যুবক! কেন জানলে অবাক হবেন

News Desk

খেলার মাঠে মাথায় গেঁথে যায় জ্যাভলিন! কৃত্রিম খুলি বসিয়ে প্রাণ বাঁচালো চিকিৎসকরা

News Desk

পুরাণ বলে মৃত্যুর কিছুদিন আগে থেকে ঘটে এই কয়েকটি ঘটনা! জানুন কিভাবে বোঝা যায়

News Desk