গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে, একটি দুই বছরের শিশুকে পূর্ব মুম্বাইয়ের গোভিন্দ এলাকায় একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়, আর সেখানে তাঁকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। অবশেষে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়, এই শিশুর মৃত্যুর কারণে। অভিযোগ নার্সিং হোমের এক নার্স তাকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়েছিল। আর ঠিক তারপরই ত্বহা আজিম খান নামের ওই শিশুর মৃত্যু হয়। বছর ১৮ এর নার্গিস শেখ নামের ওই নার্সের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে শিবাজীনগর থানার পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। এখনও পর্যন্ত করা প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের কাছে তথ্য এসেছে যে ওই নার্গিস শেখ নামের নার্স ক্লাস এইটের পর স্কুল ছেড়ে দিয়েছে। তারপর সে এই নার্সিংহোমে নার্সের কাজে যোগ দেয়। অন্যদিকে ওই নার্সিংহোমের সঠিক কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই বলে জানা গিয়েছে। এবার আরও মর্মান্তিক অভিযোগ এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই পুলিশের জালে এসেছে বছর ২৯ এর এক চিকিৎসক ও নাসিমুদ্দিন সায়েদ নামে নার্সিংহোমের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পূর্ব মুম্বইয়ের গোবান্দিতে ভুল ইঞ্জেকশনে মৃত্যু দুবছর বয়সী এক শিশুর। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই হাসপাতালের এক নার্স তাকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপরই ত্বহা আজিম খান নামে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। নার্গিস শেখ নামে ১৮ বছর বয়সী ওই নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শিবাজিনগর থানার পুলিশ খুঁজছে তাকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে ওই নার্স ক্লাস এইট পাশ করার পরে স্কুল ছেড়ে দিয়েছিল। পরে সে আবার ওই নার্সিংহোমে নার্সের কাজ নিয়ে নেয়। এদিকে ওই নার্সিংহোমের যথাযথ রেজিস্ট্রেশন নেই বলেও অভিযোগ। সেই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এবার ভয়াবহ অভিযোগ। পুলিশ ইতিমধ্যেই ২৯ বছর বয়সী এক চিকিৎসক ও নাসিমুদ্দিন সায়েদ নামে নার্সিংহোমের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
ইকবাল শিগালগর ওই থানার ইনসপেক্টর জানিয়েছেন নুর নার্সিংহোমে বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা হয়েছে। পুলিশ এর থেকে জানা গিয়েছে, যে ওই ঘটনার কিছুক্ষন পরেই বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ওই মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ যে তারা গিয়ে যখন শিশুটিকে দেখতে যান, গিয়ে দেখেন সে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরিবার সূত্রে পাওয়া তথ্য অন্যযায়ী বেশ দিন তিনেক আগে শিশুটির পাতলা পায়খানা শুরু হয়। কিছুতেই না কমায় উপায় না পেয়ে তাঁকে এই হাসপাতালে ভর্তি করাও হয়। অপরদিকে তাকে ছুটি দেওয়ার কথা বুধবারই ছিল। এদিকে নার্গিস ও নিশা নামে দুই নার্স সেই সময় ত্বহাকে কী ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে তা নিয়ে তর্ক করছিল।
তার মধ্যেই একটি ইঞ্জেকশন নিয়ে নার্গিস শিশুকে দিয়ে দেয়। তবে পাশের রোগীর জন্য সেটি বরাদ্দ ছিল। চিকিৎসকের দাবি,ওই নার্স এই কাজ করেছে কাউকে না দেখিয়েই। তারপরই ওই শিশুতির মৃত্যু হয়।