আজকাল বিয়ে হলেই সেখানে দেখা যায় যেমন পুরোনো সময়ের রীতিনীতি তেমনই আধুনিকতার ছোঁয়া। তাই বিয়ের দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে অনেকেই কেক কেটে থাকেন। এই কেক কাটার ব্যাপারটা যে কোনও দিন স্বরণীয় করার জন্য কাটা হয়,সে জন্মদিন হোক আর বিয়ের দিন, এই চল বহুকালের। আর বিয়েতে এই কেক কেটেই এক যুগলের দুর্ভোগ হল। জানা গেছে, ওই যুগলের বিয়ের দিন কেক কাটার পরই নববধূ বিচ্ছেদ (divorce) চেয়ে বসলেন।
তাঁর ডিভোর্সের আবেদনে মহিলা জানিয়েছেন, কেক কেটে বিয়ের দিন সেলিব্রেট হোক তা নিয়ে সমস্যা না থাকলেও তিনি চাননি কেক মুখে লাগানো হোক। আগে থেকেই তিনি তাঁর স্বামীকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। এর জন্য তিনি সকলের জন্য কাপ কেক আনানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন কারণ তাঁর স্বামী বিয়ের দিন এমন করতে পারেন সে বিষয়ে আন্দাজ করতে পেরেছিলেন তিনি। তবে, ওয়েডিং কেকই নিয়ে আসেন তিনি কাপ কেক না এনে। বিয়ের দিন কেক কাটা হয় কথা মতোই এবং কেক কাটার পরই ঘটে বিপত্তি। তাঁর স্বামী তাঁর মুখে কেক গুঁজে দেন মহিলা না চাইলেও। যা তিনি একেবারেই ভালোভাবে নেননি। রেগে তখনই একসঙ্গে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
তিনি অভিযোগে আরও জানান, এই কাজ তাঁর একদমই অপছন্দ হয় আগে থেকে নিষেধ করা সত্ত্বেও এবং তিনি অপমানিত বোধ করেন। যার ফলে স্বামীর বিরুদ্ধে ডিভোর্সের দাবি জানান তিনি বিয়ের পরের দিনই।
যদিও , এভাবে যেন তাঁরা আলাদা হয়ে না যান টা ওই মহিলার পরিবার চান। তাঁদের যেন কথা হয় এবং সব মিটমাট হয়ে যায় তাঁরা সেদিকে নজর রাখছেন এবং কথা বলানোর চেষ্টা চলছে। কখনওই তাঁরা চান না বিয়ে ভেঙে যাক।
এই কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই সকলে ওই ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে থাকে। মহিলার পাশে প্রত্যেকেই থেকে বলেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করা কারও উচিত নয়। মহিলার স্বাধীনতা আছে তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার।