বাংলা ভাষায়, হিজড়া বলতে আন্তঃলিঙ্গ মানুষজনকে বোঝানো হয়। বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলতে গেলে ভ্রূণ অবস্থায় ক্রোমোজোমের সমস্যার কারণে জন্মগত যৌন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, যাদের জন্মের পরবর্তী সময়ে নারী বা পুরুষ লিঙ্গ নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়। তাদের মধ্যে নারী অথবা পুরুষের কোন লিঙ্গেরই সম্পুর্ন বৈশিষ্ট্য থাকে না। পুরুষ লিঙ্গ অথবা স্ত্রী লিঙ্গের অর্ধেক অর্ধেক শারীরিক আর যৌন বৈশিষ্ট্য থাকে তাদের মধ্যে।
বাকি মানুষের মত এরাও রক্ত-মাংসের গঠিত হলেও তাদের পরিচয় সমাজে বেশ কিছুটা আলাদা। কেউ তাদের ডাকে ‘হিজড়া’, বলে কেউ বা বলে ‘ কিন্নর’ অথবা ‘তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ’। হিজড়ারা এই সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী। নারী বা পুরুষ কোনোটি না হওয়ার জন্য শারীরিক গঠন আলাদা থাকার কারণে সমাজ তাদের আলাদা বা অস্পৃশ্য বলে মনে করে। সমাজ থেকে দূরে আলাদা তারা জীবন যাপন করে। অনুষ্ঠানে নাচ গান করে আর ভিক্ষা করেই বেশিরভাগ হিজড়া জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। অনেকে তাদের মঙ্গলময় মনে করে। যেহেতু তারা সমাজের দ্বারা অবহেলিত তাই তাদেরকে অনেকেই নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
কিন্তু জানেন কি হিন্দু শাস্ত্র মতে এমন কিছু বস্তু আছে যেগুলো হিজড়াদের কখনোই দান করতে নেই। শাস্ত্রে বলা হয় যে হিজড়াদের এই জিনিস গুলি দিলে নেমে আসে পরিবারে অকল্যাণ। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে সেই সব জিনিস সম্পর্কে জানবো, যেগুলি ভুলেও হিজড়াদের দিতে নেই।
স্টিলের বাসনপত্রঃ
শাস্ত্রে বলা হয় যে হিজড়াদের স্টিল জাতীয় ধাতুর বাসনপত্র নাকি দান করতে নেই। হিজড়াদের স্টিলের বাসন পত্র দান করলে নাকি সংসারে আসবে অশান্তি, দুর হবে সুখ শান্তি এবং সমস্যা বৃদ্ধি পাবে।
রুপোঃ
শাস্ত্রে আরো বলা আছে যে হিজড়াদের কখনোই রুপো দিতে নেই। রূপো দেওয়া নাকি পরিবারের জন্য ভালো নয়। হিজড়াদের রুপো বা রুপোর তৈরি কোন জিনিস দান করলে আপনার পরিবারে আর্থিক সমস্যা আর অভাব দেখা দিতে পারে।
তেলঃ
শাস্ত্র মতে তিন নম্বর যে জিনিস যা হিজড়াদের কখনো দিতে নেই তা হল তেল। তা সেটা যে কোন ধরণের তেলই হতে পারে। সরিষার তেল, রিফাইন তেল বা অন্য যে কোন তেল। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে হিজড়াদের তেল দান করলে আপনার জীবনে টাকা পয়সার সমস্যা ও সম্মান হানি দুইই হতে পারে।
তাই এই তিনটি জিনিস বাদ হিজড়াদের সবকিছুই দান করতে পারেন যেমন, চাল, ডাল, সবজি, টাকা পয়সা ইত্যাদি। কিন্তু এই তিনটি জিনিস ভুলেও দেবেন না। এতে আপনার ও আপনার পরিবারের অকল্যাণ হতে পারে।