স্বপ্নদোষ ইংরিজিতে যাকে বলে নাইটফল (Nightfall) সেই সমস্যায় ভোগেন বহু পুরুষেরা। যৌনবিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়, একেবারে স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে এই বিষয় ঘিরে মানুষের মনে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা। তাই সেইসব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেকেই হিন্নমন্যতায় ভোগেন, লজ্জা পান। এমনকি এই নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পান। তাই স্বপ্নদোষ -এর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে জানা যাক এই বিষয়…
স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। এটাকে অনেকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলেন।
সাধারণত বয়ঃসন্ধির সময়ে ১৩-১৪ থেকে ২০ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার শুরুর বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ এর অভিজ্ঞতা খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধির সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজনার কোনো স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। এটি পুরুষ মহিলা যে কারো হতে পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম ভাঙ্গার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম উত্তেজিত হওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে।
ঘুমের ঘোরে বীর্যপাতকেই কেনাে স্বপ্নদোষ নাম দেওয়া হয়েছে?
মানুষ ঘুমনোর সময় দেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। সাথে সাথে বিশ্রাম পায় মস্তিঙ্ক। শুধু সক্রিয় থাকে লঘু মস্তিষ্ক। যার কারনে হয়তাে আমরা ঘুমের মধ্যে কল্পনা করার ক্ষমতা রাখি বা স্বপ্ন দেখি। আমরা অবচেতন মনে যা দেখি শুনি তার একটা প্রতিফলন আসে ঘুমের মধ্যে। ঘুমের মধ্যে আমরা সম্পূর্ন আলাদা জগতে প্রবেশ করি। আমরা স্বপ্ন দেখে ঘুমের মধ্যে বিড়বিড় করি, হাত পা নারি তেমনই স্বপ্নের কারণেই যেমন আমরা এই সব কাজ করি তেমনই বীর্যপাতও হয়। এই কারণেই স্বপ্ন দোষ বলি
স্বপ্নদোষ নিয়ে মিথ বা ভ্রান্ত ধারণা:
• স্বপ্নদোষ সম্পর্কে সবচেয়ে বড় আর সব থেকে বড় মাত্রার ভ্রান্ত ধারণা হল যে, এটি কোনো অসুস্থতা বা দুর্বলতা এবং এটি হওয়া ভুল। এই ধারণাগুলি একবারেই ভ্রান্ত। এরকম আরও কয়েকটি প্রচালিত ধারণা হল,
• ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হওয়া ইরেক্টাইল ডিসফাংশন সমস্যার লক্ষণ।
• এটি পুরুষদের শরীরে স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দিতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যতে বাবা হওয়ার পথে বাধা তৈরি করে।
• শুধুমাত্র পুরুষরাই স্বপ্নদোষ সমস্যায় ভোগেন। এটা একেবারেই ভুল।
• শুধুমাত্র পর্ণ যারা বেশি দেখেন বা নিম্ফোম্যানিয়াকরা স্বপ্নদোষের সমস্যায় ভোগেন।
• স্বপ্নদোষের কোনও প্রতিকার নেই।