কেরল উপকূলে সমুদ্রের মধ্যে ফুটে উঠছে এর রহস্যময় ছোট্ট দ্বীপের ছবি গুগল ম্যাপ ও গুগল আর্থে দেখা যাচ্ছে৷ আর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই অদৃশ্য দ্বীপকে নিয়েই রীতিমতো। এই দ্বীপটি অনেকটা কিডনি আকৃতির, যেটি প্রায় অর্ধেক আয়তনে পশ্চিম কোচির৷ বিশেষজ্ঞরাও রীতিমতো বিভ্রান্ত গুগল ম্যাপে ফুটে ওঠা এই রহস্যজনক দ্বীপকে নিয়ে৷ তাঁদের অনেকের মতে, সম্ভবত জলের তলায় ডুবে রয়েছে এই দ্বীপটি৷ বিষয়টি সর্বপ্রথম নজরে আনা হয় চেল্লানাম করশিখা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির তরফে৷ এই অদৃশ্য দ্বীপের কথা উল্লেখ করে কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য এবং সামুদ্রিক গবেষণা বিভাগকে চিঠি লেখা হয় ওই সংগঠনের তরফেই৷ কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য এবং সামুদ্রিক গবেষণা বিভাগের সদস্যরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ৷
ফেসবুক পোস্টে প্রশ্ন তুলেছেন চেল্লানাম করশিখা নামে ওই সংগঠনটির সভাপতি জেভিয়ার জুলাপ্পন, যে দ্বীপের মতো অংশ তৈরি হয়েছে বালি জমে, তা কাজে লাগিয়ে সমুদ্র উপকূলের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব কি না,
খতিয়ে দেখা হোক সেই সম্ভাবনা৷ কী কারণ এই দ্বীপ আকৃতির অংশ তৈরি হওয়ার, তিনি তার কারণ খুঁজে বের করা উচিত বলে দাবি করেছেন৷
তবে কি বলছেন এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা?এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে হুগলির শ্রীরামপুরের গুগল লোকাল গাইড শৌনক দাসের সঙ্গে, বার তিনেক যিনি গুগল হেডকোয়ার্টারে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন ও বর্তমানে ছাড়পত্র পেয়েছেন রোড ম্যাপার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও কিছু প্রতিবেশী দেশের রাস্তাঘাট ম্যাপে আঁকার।
শৌনক বলেন, অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে বেশ কয়েক বছর আগে এরকম একটা দ্বীপের মতো অংশ গুগল ম্যাপে দেখা গিয়েছিলো কিন্তু পরে জলযান পাঠিয়ে সেখানে বাস্তবে কিছুই নেই দেখা গেছিলো। তিনিও মনে করছেন ঠিক তেমনই হবে এবারের ব্যাপারটাও। শৌনক আরো বলেন , যদি বাস্তবে এরম দ্বীপ থাকতো তাহলে স্থলভাগের কাছে হওয়াতে সেখানে বাসিন্দরা বা মৎস্যজীবীরা হদিশ পেতেন দ্বীপের অবস্থানের। তা না হওয়াতে মনে করা হচ্ছে কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির দরুন-ই হয়েছে ব্যাপারটি স্যাটেলাইটে ছবি তোলার সময়। তিনি গুগল কর্তৃপক্ষকে ব্যাপারটি শীঘ্রই জানাবেন বলে জানিয়েছেন।