১৫ মাসের বাচ্চা ছেলের কান্না থামাতে তাকে ভোলানোর জন্য তাকে নিয়ে গভীর জঙ্গলে ঢুকেছিলেন মা। সেই সময়ই বাচ্চাটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। সন্তানকে বাঘের মুখে পড়তে দেখে খালি হাতেই বাঘের সঙ্গে সন্মুখ সমরে নামেন ওই ২২ বছরের তরুণী। বাঘের সঙ্গে এই লড়াইয়ে ভীষণ জখম হয়ে হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। কিন্তু সেইভাবে কিছুই হয়নি তাঁর ১৫ মাসের সন্তানের। মা যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে তাকে। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলার বান্ধবগড় অভয়ারণ্যে। সোমবার জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে এই বিষয়ে।
বাঘের আক্রমণে জখম হওয়া তরুণীর নাম অর্চনা চৌধুরী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অর্চনা জানিয়েছেন তাঁর শিশুপুত্রকে তাঁর সামনে থেকেই উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ওই বাঘটি প্রায় পাঁচ মিটার দূরে নিয়ে গিয়ে লাফায়। সেই অবস্থায় বাঘটির মুখ থেকে নিজের ছেলেকে বাঁচিয়ে ছাড়িয়ে আনতে খালি হাতেই বাঘটির পিঠে মুখে আঘাত করতে থাকেন তিনি। বাঘটি তখন বাচ্চা ছেলেটিকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ করে। তাঁর আর্ত চিৎকার কানে যেতেই গ্রামবাসীরা দৌড়ে আসে বাঘটি সেখান থেকে ছুটে গিয়ে গভীর জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে যায়।
বিএস অ্যানেগিরি বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের অধিকর্তা জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই বাঘটি ওই এলাকায় থাকে কিন্তু কখনও সে মানুষকে আক্রমণ করেনি। অবশ্য তিনি জানিয়েছেন যে একটি গবাদী পশু মারতে গিয়ে ব্যার্থ হয়। আর এই কারণেই সে তীব্র রেগে যায়। আর তার থেকেই এই ঘটনা বলে দাবী করেছেন তিনি।
শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় অর্চনাকে উমারিয়া জেলা হাসপাতাল থেকে জব্বলপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে বলেছেন যে , নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছে তাঁর। পিঠে এবং তার সাথে পেট এবং পিঠে ।