Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

দুই সন্তানের মা চালাত মধুচক্র! ফাঁদে পড়ে অশ্লীল ভিডিও তৈরী হয়ে গেল ব্যবসায়ীর! তারপর

হরিয়ানার পানিপত জেলায় এক ব্যবসায়ীকে মধুচক্রের মাধ্যমে ফাঁসিয়ে, ব্ল্যাকমেইল করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে হাতেনাতে ধরেছে। বলা হচ্ছে, ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭ মাসে ১৮ লাখ টাকা প্রতারণা করেছেন ওই নারী। নির্যাতিত বলেন, অভিযুক্ত মহিলা স্ট্যাম্প পেপারে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন যে তিনি ভবিষ্যতে তাকে কখনও ব্ল্যাকমেইল করবেন না। তা সত্ত্বেও, সে তার প্রতিশ্রুতি রাখে নি এবং ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেইল করে এবং আবার আর তার কাছে ৬ লাখ টাকা চায়। এতে বিরক্ত হয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চান ওই ব্যবসায়ী।

পুলিশে জানালে পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে ওই ব্যবসায়ী কে সঙ্গে নিয়ে টাকা দেওয়ার অজুহাতে ওই মহিলাকে পানিপথে ডেকে পাঠান এবং এখানে পৌঁছলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত নারীকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, ওই নারী দুই সন্তানের জননী। ব্যবসায়ী সুভাষ জানান, তিনি মূলত পাঞ্জাবের বাসিন্দা এবং পানিপথে ব্যবসা করেন। সুভাষ জানান, ২০২১ সালের আগস্টে তাঁর মোবাইলে এক মহিলার ফোন আসে। মহিলাটি তার নাম বলেছিলেন প্রিয়ংশী (কাল্পনিক নাম)। মহিলাটি বলেছিলেন যে তিনি তার সাথে সম্পর্ক রাখতে চান। তারপর দুজনের দেখা হয় এবং দুজনেই একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সুভাষ জানান, একদিন প্রিয়ংশী তাকে তার পানীয়তে কিছু নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করায়। পানীয় পান করার পর তার মাথা ঘোরা শুরু হয় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তিনি অজ্ঞান হওয়ার আগে পর্যন্ত সবকিছু মনে রেখেছিলেন। এর পর কি হয়েছিল তার মনে নেই। এরপর কয়েকদিন পর সুভাষকে তার ভুলভাবে তৈরি করা অশ্লীল ভিডিও প্রিয়াংশী দেখিয়ে দেয় এবং তারপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলের নোংরা খেলা।

তাকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করে মহিলা। টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। ভয়ে তিনি মহিলাকে নগদ আড়াই লাখ টাকা দেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, মহিলা সোনিপত থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন। এর পরে নির্যাতিতা সুভাষ থানা থেকে একটি ফোন পান, যেখানে বলা হয়েছিল যে প্রিয়ংশী নামে এক মহিলা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাই প্রিয়ংশী যে পরিমাণ টাকা চাচ্ছেন তা দিন, না হলে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এরপর সুভাষ পানিপথ সিটি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সুভাষ তার অভিযোগে জানান, এ পর্যন্ত তার কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইল করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন মহিলা আবার ৬ লাখ টাকা চাইছে। এরপর ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ কৌশিক এক্সইএন মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নেতৃত্বে সিটি থানা শিবপুরী কোর্ট কমপ্লেক্সের সামনে একটি সাদা ব্যাগে টাকাগুলো রাখে।

এসএইচও সুনীল কুমার বলেন, একটি বান্ডিল থেকে একটি ৫০০ টাকার নোটে ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর ছিল। সোমবার বিকেল ৫টায় ওই নারীকে ওই ঠিকানায় ডাকা হয়। কিছুক্ষণ পর কোমরে ব্যাগ ঝুলিয়ে মারুন শার্ট ও কালো জিন্স পরা ওই নারী সেখানে আসেন।সুভাষ টাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে আটক করে। আপাতত সে বিচারাধীন।

Related posts

অলিম্পিক ভিলেজে ‘অ্যান্টি সেক্স’ বেড! করোনার জের? নাকি অন্য উদ্দেশ্য!

News Desk

পার্থের নিরাপত্তারক্ষীর পরিবারে ১০ জনেরই একই বছরে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি! কিভাবে?

News Desk

আইপিএলে নতুন দল হিসাবে প্রকাশ পেল লখনউ ও আহমেদাবাদ! কারা কিনলেন?

News Desk