এনগেজমেন্ট হয়েছিল দু’বছর আগে ২০১৯ সাকেই। পরের বছর বিয়েও সেরে ফেলেছিলেন। কিন্তু গত বছরের করোনার (Covid-19) আকস্মিক আগমনের জন্য বাকি ছিল কেবল বিয়ের রিসেপশন পার্টি। কিন্তু তা আর হল না। কারণ বিয়ে টিকল না প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খালিফার (Mia Khalifa)। ইনস্টাগ্রাম নিজেই এই বিষয়ে জানালেন তিনি। স্বামী সুইডিশ (Robert Sandberg) রবার্ট স্যান্ডবার্গকে সঙ্গে হয়ে উঠছে না বনিবনা। তাই তাঁদের বিয়ে ভাঙছে।
২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ সুইস নাগরিক রবার্ট স্যান্ডবার্গকে (Robert Sandberg) বিয়ে করেছিলেন প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খালিফা (Mia Khalifa)। মাত্র দেড় মাস আগেই ছিল তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। সেই দিন স্বামী রবার্ট স্যান্ডবার্গকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন মিয়া খালিফা সোশ্যাল মিডিয়াতে। এরপরেও থাকলো না দুজনের সম্পর্ক। মাত্র এক বছর পেরোতে না পেরোতেই সেই বিয়ে ভেঙ্গে গেল। তবে বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেও একে অপরকে দোষী করতে চাননি মিয়া এবং রবার্ট দুজনের কেউই।
ইনস্টাগ্রামে নিজের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে মিয়া লিখেছেন, ‘আমরা উভয়েই এটা জোর দিয়ে বলতে পারি যে বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য দুজনেই নিজের সবটা দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এক বছর ধরে থেরাপি ও অন্যান্য আরো সব কিছু চেষ্টা করেও আমরা দুজন আলাদা হয়ে যাচ্ছি। তবে এটা জানি সারা জীবনের জন্যই আমরা দুজন খুব ভাল বন্ধু হয়ে থাকব সব সময়ের জন্য।” মিয়া এর সাথে আরও লেখেন, “শুধু এইটুকু বলতে পারি একে-অপরের জন্য মনে কোনও অভিযোগ অনুযোগ না রেখেই আমরা একে অপররের থেকে আলাদা হচ্ছি। তবে বন্ধুবান্ধব-পরিবার-পরিজনও বিশেষ করে নিজেদের পোষ্যদের প্রতি আমাদের দু’জনের ভালোবাসার কারণে আমদের দুজনের একটা সংযোগ থেকেই যাবে।”
প্রসঙ্গত, ২৮ বছর বয়সি মিয়ার এটি দ্বিতীয় বিবাহ বিচ্ছেদ। এর আগে ২০১১ সালে তাঁর কৈশোরের প্রেমিককে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন এবং ২০১৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তখনই পর্ন সিনেমার জগতে পা দেন মিয়া। যদিও পরবর্তীতে সময়ে সেই পর্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে তিনি সরে এসেছেন। বর্তমানে প্রাক্তন এই পর্নস্টারের পরিচিতি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার (Social Media Influencer) ও স্পোর্টস ব্রডকাস্টার হিসেবেও। এই সমস্ত কাজের মাঝেই তাঁর পরিচয় হয় সুইডিশ রবার্টের সঙ্গে। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব হয় যা পরবর্তী সময় বিয়েতে পরিণতি পে। কিন্তু এই দ্বিতীয় বিয়েও টিকল না প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খালিফার।