এক ব্যক্তি নিজের বান্ধবীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে গোপনে বান্ধবীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এই অপরাধ এখানেই থেমে থাকেনি এবং সে আরেক নারীকে বিয়েও করে ফেলেছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়। উইলিয়াম ডান (বয়স ৬৯ বছর) তার বান্ধবী লিন্ডা গ্রান্টের (বয়স ৬৩ বছর) অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা চুরি করেছেন বলে অভিযোগ। এরপর কারেন ডলান নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। লিন্ডার দাবি, তার অ্যাকাউন্টে যে টাকা ছিল, সে বাড়ি বিক্রি করে সে সঞ্চয় করেছিল।
পেসলে শেরিফের আদালতে (ইউনাইটেড কিংডম) শুনানির সময় এটি সামনে আসে যে লিন্ডা উইলিয়াম ডানকে ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি’ দিয়েছিলেন। যার কারণে ডান টাকা তুলতে সক্ষম হন। আদালতে লিন্ডা বলেন- ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ সম্পর্কে তার কোনো জ্ঞান ছিল না। তবে ডন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ডনের বিরুদ্ধে ২৬শে মে ২০১৫ থেকে ১লা মার্চ ২০১৭ এর মধ্যে ১ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
মহিলা অসুস্থ, তখনই হয়েছে প্রতারণা! আদালতের শুনানিতে বলা হয়, এসব করার সময় লিন্ডা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন, তার মস্তিষ্কে আঘাত লেগেছিল। লিন্ডা অ্যাল্ডার্সলে (রেনফ্রুশায়ার) ডানের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। তারা দুজনেই এখানে পৌঁছানোর পর পরিকল্পনা করেছিল যে তারা তাদের সারা জীবন এখানে কাটাবে।
একইসঙ্গে লিন্ডা তার সন্তানদেরও বলেছিলেন যে তিনি মারা গেলে তাকে অর্থাৎ ডান কে ৩৮ লাখ টাকা দিতে হবে। কিন্তু ডান যখন গোপনে অন্য একজন নারীকে বিয়ে করেন, তখন লিন্ডার সন্তানরাও বিস্মিত হয়। লিন্ডার মেয়ে গিলিয়ান জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ডানের নতুন প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় তার মা কেয়ার হোমে গেলে।
একই সময়ে, ডানকে আদালতে উদ্ধৃত করে তার আইনজীবী বলেছেন, তিনি (ডান) লিন্ডা এবং তার ছেলের সাথে ‘সম্পদকে অবমূল্যায়ন করার’ বিষয়ে কথা বলেছেন যাতে কেয়ার হোমে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। এর থেকেই পরিত্রান পেতে তিনি লিন্ডার অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বলে ডান দাবি করেছেন।
একই সময়ে, লিন্ডা ডানের বিনিয়োগ এবং অন্যান্য সমস্ত দাবির বিষয় প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আদালতে তিনি বলেন- এ বিষয়ে তিনি মোটেও অবগত নন। লিন্ডা আদালতে আরও বলেন, কেয়ার হোম থেকে ফিরে আসার সময় তার অ্যাকাউন্টে খুব কম টাকা ছিল। বাড়ি বিক্রির পর সেভিংস অ্যাকাউন্টে যা ছিল, সব উধাও হয়ে গেছে। আদালতে এই মামলার শুনানি চলছে।