মুঙ্গের হয়ে গোপনে কিছু জিনিস পৌঁছে দেওয়ার এক চক্র চলছে জামুইতে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, পাটনা এসওজি-ওয়ান জেলা পুলিশের সহায়তায় মুঙ্গের বাসস্ট্যান্ডের কাছে থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে ওই ব্যাক্তি বাস থেকে নামতেই তার ব্যাগ থেকে যা পাওয়া যায় তাতে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত সকলে। এরা গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করতো। এই ভাবে অস্ত্র চোরাচালানের ক্ষেত্রে মুঙ্গের জেলার থেকে জামুইয়ের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে, পাটনা এসওজি ওয়ান তথ্য পেয়েছিল যে মুঙ্গের থেকে জামুইয়ে এসে অস্ত্র চোরাকারবারীরা জামুইয়ের কাছে ক্রমাগত অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় করছে। এই তথ্যের পাওয়ার পরে, এসওজি দল মুঙ্গেরে পৌঁছয় এবং কোতোয়ালি থানার সহায়তায় বাসস্ট্যান্ডের কাছে থেকে ৮০ টি তাজা কার্তুজ সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত মহম্মদ ফরমান জামুই জেলার চন্দ্রমন্দিহ থানা এলাকার নবীনগরের বাসিন্দা। ৩১৫ বোরের ৭০টি তাজা কার্তুজসহ তাকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, এর আগেও সে মুঙ্গেরের বীরেন্দ্র নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৫টি বুলেটের চালান কিনেছিল। তার কাছে ৭০টি গুলি ছিল।
অভিযুক্ত ফরমান জানান, তারা শুধু জামুইতে এই গুলি ক্রয়-বিক্রয় করে এবং গত দুই মাস ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এসপি জগ্গুনাথ রেড্ডি, ও জালা রেড্ডি জানিয়েছেন, দুদিন আগেও চারটি দেশী পিস্তল সহ এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার নির্দেশে, জামুই জেলার খায়রায় একটি মিনি বন্দুক কারখানার ভাংচুর করা হয়েছিল, যেটি মহিলার স্বামীর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। মুঙ্গের এবং জামুই জেলা কাছাকাছি হওয়ায় অস্ত্র চোরাকারবারীরা এর সুযোগ নিচ্ছে বলেও জানান। মুঙ্গেরে পুলিশের অভিযানের কারণে এখন অস্ত্র পাচারকারীরা মুঙ্গের ছেড়ে বাইরের জেলা বা রাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছে।