এক পয়সা… অর্থাৎ অঙ্কের ভাষায় ১ টাকার ১০০ ভাগের এক অংশ। বর্তমান সময়ে এক টাকায় কিছুই পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আমরা বলি যে ১ পয়সার জন্য একজনের ১০ হাজার টাকা বেচেঁ গেছে। তার ১০,০০০ হাজার টাকা প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে গেছে শুনলে আপনি হয়ত বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেছে গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা সুনীলের সঙ্গে। আসুন জেনে নেই পুরো বিষয়টি কি?
দেশে সাইবার ক্রাইম ও প্রতারণার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ এর শিকার হচ্ছে। সুনীলও প্রতারণার শিকার হতে চলেছিল, কিন্তু তার অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স -এ ১ পয়সা কম থাকায় তিনি রক্ষা পান। সুনীল কুমার সাইবার সেলকে গোটা বিষয়টির তথ্য দেন। এরপর তদন্ত শুরু করে সাইবার সেল।
পুরো ব্যাপারটা কি?
বাণিজ্যিক বেল্ট আলফা ওয়ানে সুনীল কুমারের একটি অফিস আছে। ২রা জুন তাকে তার আত্মীয়ের কাছে ২২০০০ টাকা পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু অ্যাকাউন্টের তথ্য পূরণ করতে গিয়ে একটা অঙ্ক ভুল দেওয়ায় টাকা চলে গেল অন্য কারও অ্যাকাউন্টে। সুনীল কুমার ব্যাঙ্ককে বিষয়টি সাথে সাথে জানান। ব্যাঙ্কের থেকে সাহায্য না পেয়ে তিনি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ট্যাগ করে টুইটারে অভিযোগ জানান।
এই টুইট চোখে পড়তেই সক্রিয় হয়ে ওঠে সাইবার ঠগরা। সুনীল সাইবার গ্যাংয়ের একজন সদস্যের কাছ থেকে একটি ফোন পান এবং তারা তাকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিল। এরপর সুনীল কে তারা একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলেন। এর পর সাইবার ঠগরা তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য বিভিন্ন লেনদেনের চেষ্টা করে। তবে সুনীল কুমারের ভাগ্য ভালো ছিল, তাই ঠগরা সফল হননি। কেন সফল হননি সেই কারণটা বেশ চমকপ্রদ!
অ্যাকাউন্টে ৯৯৯৯.৯৯ টাকা ব্যালেন্স ছিল
সুনীল কুমারের মতে, সাইবার জালিয়াতরা তার অ্যাকাউন্ট থেকে ১০,০০০ টাকা লেনদেন করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তিনি ভাগ্যবান যে তার অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকার থেকে মাত্র ১ পয়সা কম ছিল অর্থাৎ ৯৯৯৯.৯৯ টাকা ছিল। এক পয়সা ব্যালেন্স এর কারণে তিনি প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেল। জালিয়াতরা যখন আবার লেনদেনের করার চেষ্টা করেছিল, সুনীল অ্যাপটি ডিলিট করে ফেলেছিল। সুনীল কুমার নয়ডা পুলিশের সাইবার সেলকে বিষয়টি জানিয়েছেন।